এসএমসে বিরক্ত মানুষ, বিফল বিটিআরসি


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


এসএমসে বিরক্ত মানুষ, বিফল বিটিআরসি

সময় অসময়ের কল-এসএমসে বিরক্ত গ্রাহক। ভোগান্তি বন্ধে বিটিআরসি ডু নট ডিস্টার্ব সার্ভিস চালু করলেও তা পুরোপুরি কার্যকর নয় বলে মত বিশেষজ্ঞদের। নিবন্ধিত মোবাইল অপারেটর কোম্পানী এবং থার্ডপার্টিগুলো দিনে ৪৪টি সেবার জন্য দেড়শ’ কোটি প্রোমোশনাল এসএমএস পাঠায় গ্রাহককে। এসব এসএমএস আর বিজ্ঞাপনী কলের নেই কোনও সময় জ্ঞান। 

বিটিআরসির তথ্য বলছে, প্রমোশনাল ক্যাম্পেইন, অফার, মিনিট প্যাকেজ, ইন্টারনেট, মিসডকল অ্যালার্ট এরকম ৪৪টি সেবা রয়েছে। প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৭ কোটি এসএমএস গ্রাহককে পাঠায়, যা কখনও কখনও বেড়ে দ্বিগুণ হয়।

গ্রাহকরা জানান, প্রতিদিন অনেক ম্যাসেজ পাই। নামটা দেখে সেটা ইগনোর করে চলে চাই। কারণ, এই মুহূর্তে এটা আসলে আমার প্রয়োজন নেই।

সঙ্গে আছে বাল্ক ও কালোবাজারি এসএমএস ব্যবসায়ী চক্রও। তারা যে শুধু বিরক্তি উৎপাদন করছে তাই-ই নয়। নাগরিক অধিকার খর্ব করার পাশাপাশি হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

এক চিকিৎসক জানালেন, “আমি রোগী দেখছি, এর মাঝখানে হয়তো একজন ফোন দিলেন। আমি জরুরি মনে করে ফোনটা ধরলাম। ধরার পরে দেখা গেল যে, তিনি হয়তো মাছ বিক্রি করতে চান। তার মানে হচ্ছে, আমার ফোন নম্বরটি বেহাত হয়ে যাচ্ছে এবং এই কোম্পানিগুলোর কাছে পৌঁছে যাচ্ছে।”

গ্রাহক ভোগান্তি নিরসনে রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত প্রমোশনাল ক্যাম্পেইন বন্ধের নির্দেশনা রয়েছে বিটিআরসির। কিন্তু ভোর ৬টার পর থেকে শুরু হওয়া কল-এসএমএসকেও বিরক্তির বলছেন গ্রাহকরা।   

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, “সার্ভিসটা যখন আমরা উপভোগ করতে গেলাম, তখন দেখা গেল এটার মধ্যে শুভঙ্কর একটা ফাঁকি। এর মাধ্যমে শুধু মোবাইল ফোন অপারেটরের প্রোমোশনাল প্যাকেজগুলো বন্ধ করা যাবে কিন্তু বাদ-বাকি লাখ লাখ প্রতিষ্ঠান থেকে যে বিরক্তিকর মেসেজ অফার দিচ্ছে সেগুলো বন্ধ যাবে না। কারণ, এগুলো তাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই নেই।”

তবে গ্রাহকের ভোগান্তি কমাতে ডিএনডি কাজ করছে বলে দাবি বিটিআরসির এই কর্তার। 

বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বলেন, “এটা হচ্ছে দুই দিক থেকে, গ্রাহকের পক্ষ থেকে একটা ভিউ এবং মোবাইল অপারেটর থেকে আরেকটা ভিউ। গ্রাহকরা যদি এই সার্ভিসটা না বোঝে সেটার দায়িত্ব কিন্তু আমরা কেউ নিতে পারবো না।”

মোবাইল ব্যবহার হবে স্বস্তির-আনন্দের, গ্রাহক পাবে তার কাঙ্খিত সেবা এবং নিরোপদ্রব জীবন- এমনই প্রত্যাশা সবার। 

এসএ/