শীতের সময় আরামসয় ব্লাউজ


Janobani

জনবাণী ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯:৫০ অপরাহ্ন, ১৪ই ডিসেম্বর ২০২৩


শীতের সময় আরামসয় ব্লাউজ
ছবি: সংগৃহীত

ইট-পাথরের শহর ঢাকাতে শীতের মৌসুমে অলিগলির বাড়িগুলোতে জ্বলে ওঠে বিভিন্ন রঙের মরিচ বাতি। বিয়ের মৌসুম শুরু হওয়ার সাথে সাথে বেড়ে যায় বিয়ের দাওয়াত। শীতের সময় বিয়ে বাড়িতে নিমন্ত্রণ পেলে একটু পেরেশানিতে পড়তে হয় পোশাক-আশাক নিয়ে। বিয়ে বাড়িতে নারীদের কাছে সবার আগে প্রাধান্য পায় শাড়ি। বিয়ের সাজই যেন জমে ওঠে না শাড়ি ছাড়া। শাড়ির ওপর শাল বা সোয়েটার পরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না অনেকেই। আর এই ঝামেলার জন্য অনেকেই বিয়েতে শাড়ি সিদ্ধান্ত বাতিল করে। তবে ব্লাউজের দিকে একটু নজর রাখলেই আর শাড়ি বাদ দেয়ার প্রয়োজন হয় না।


শীতের মৌসুম মাথায় রেখেই এখন ডিজাইনাররা তৈরি করছে বিভিন্ন স্টাইলের ব্লাউজ। একটা সময় শীতে শাড়ি পরলেই ওপরে শুধু শাল জড়িয়ে নেয়ার প্রথা ছিল, বর্তমানে এটা বেশ সেকেলে হয়ে গিয়েছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সবাই পোশাকে চায় বৈচিত্র্যময় কিছু। তাই তো শীতের এই সময়টায় শাড়ির সাথে পরতে পারেন জ্যাকেট ব্লাউজ। জ্যাকেট ব্লাউজ শার্টের মতো লং করে তৈরি করা হয়। এ ডিজাইনের ব্লাউজে লোয়ার বাস্টের পরের অংশ কিছুটা কাঁটা থাকে। এ ব্লাউজের হাতা সাধারণত হয় মাইক হাতা, ফুল বটম ও ঘটি হাতা ইত্যাদি। শাড়ির সাথে এই ব্লাউজ পরলে বাড়তি শীতের পোশাকের প্রয়োজন হয় না, এটি শরীরকে যথেষ্ট গরম রাখে। কেননা, এ ধরনের ব্লাউজ তৈরি করা হয় মোটা সুতি কাপড় কিংবা ডেনিম কাপড় দিয়ে।


শীতে যেকোনো শাড়ির সাথে পরতে পারেন হাতায় কুঁচি দেয়া হাই নেক ব্লাউজ। ফলে হাত এবং গলা দুটোই ঢাঁকা থাকবে। ব্লাউজের হাতার ওপরে ও নিচে দুই দিকে ভারী কাজ করা থাকে, এটা শীতের জন্য একদম উপর্যুক্ত ব্লাউজ। এই ব্লাউজের সাথে যেকোনো গর্জিয়াস লুক নেয়া যায়। গরমের সময়ে ভারী ব্লাউজ মানুষ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করলেও শীতের সময় খুব সহজেই এটি ব্যবহার করা যায়। এসব ব্লাউজ হেভিলি এমব্রয়ডারির কাপড় দিয়ে বানানো হয় এবং নানা স্টাইলের কাটিংয়ের হয়ে থাকে। এক রঙের জর্জেট শাড়ির সাথে এই ব্লাউজ বেম মানানসই। হালকা শীতের জন্য বেছে নিতে পারেন কলার নেক ব্লাউজ। এই ব্লাউজগুলো বর্তমানে অনেক চলছে। ফুল হাতা দিয়ে আর নিজের পছন্দমতো ডিজাইনের কলার দিয়ে এই ব্লাউজগুলো যেকোনো শাড়ির সাথে ম্যাচিং  পরা যায়। কলার নেকের ব্লাউজে যেকোনো অনুষ্ঠানে আপনাকে দেখাবে আলাদা। আবার উলের ব্লাউজও পরা যায় শাড়ির সাথে। আর উলের উপকারিতা তো আমরা সবাই কমবেশি জানি। উল শীতের দিনে শরীর থেকে তাপ বের হতে দেয়না। শীতের কথা মাথায় নিয়েই তৈরি হচ্ছে উলের ব্লাউজ, এটা ভীষণভাবে শীতের জন্য আদর্শ এক ব্লাউজ।


ব্লাউজের পরিবর্তে এখন অনেকেই এক রঙের সোয়েটার পরে থাকেন। এতে ফ্যাশন যেমন হয় তেমনি শীতের হাত থেকে উপশমও পাওয়া যায়। তবে খেয়াল রাখতে হবে সোয়েটার যেন একদম ফিটিং হয়, ঢিলেঢালা হলে এটি দেখতে ভালো দেখাবে না। শীতের সময়টা শাড়ির সাথে ব্যবহারের জন্য ভেলভেট কাপড় দিয়ে ব্লাউজ বানাতে পারেন। ভেলভেট খুবই জনপ্রিয় একটি ফেব্রিকস। ভেলভেট কাপড় শরীরকে উষ্ণ রাখতে পারে দীর্ঘ সময় ধরে। এ ছাড়া সিল্কের শাড়ির সাথে পরা যেতে পারে হেভি সিকুইন ব্লাউজ। সিকুইন ব্লাউজ সাধারণত ফুল স্লিভের হয়ে থাকে। কিন্তু শাড়ি খুব বেশি হেভি আর কাজ করা হলে এই ব্লাউজ এড়িয়ে যাওয়াই ভালো হবে। তবে সাধারণত হালকা কিংবা এক রঙের শাড়ির সাথে সিকুইন ব্লাউজ খুববেশি মানানসই। এই ব্লাউজ পরার ফলে ছিমছামভাবে শাড়ির ভেতরেই গরম থাকা যায়। এ ছাড়া ব্লাউজের পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন হাইনেক স্কিনি কিংবা নিটেড টপ। এতে পাবেন কিছুটা ভিন্নতার ছোঁয়া।


অনেকেই নিজের পছন্দ ও রুচি মতো ডিজাইন দিয়ে ব্লাউজ তৈরি করে থাকেন। কিন্তু এ সময়ে বিভিন্ন জায়গায় ব্লাউজ রেডিমেড বিক্রি হচ্ছে। ব্যস্ততার মাঝে ব্লাউজ বানানোর সময় না থাকলে কিনে নিতে পারেন রেডিমেড ব্লাউজ। রাজধানীর নিউমার্কেট, গাউসিয়া, নুরজাহান মার্কেট, আনারকলি মার্কেটসহ বিভিন্ন জায়গায় সাশ্রয়ী দামে পাবেন রেডিমেড সব ব্লাউজ। এ ছাড়া ব্যবসায়ীরা শীতের কথা চিন্তা করেই ব্লাউজের বিশেষ বিশেষ কালেকশ মার্কেটে নিয়ে আসছে।


এমএল/