সাগরে মাছ ধরতে নিখোঁজ হওয়া পাঁচ জেলে মিয়ানমারে


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:১০ অপরাহ্ন, ১৭ই ডিসেম্বর ২০২৩


সাগরে মাছ ধরতে নিখোঁজ হওয়া পাঁচ জেলে মিয়ানমারে
ছবি: জনবাণী

বঙ্গোপসাগরের মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়ার ৫ জেলের সন্ধান মিলেছে ৭ দিন পরে। তবে এই ৫ জেলে বর্তমানে মিয়ানমারে রয়েছেন। সাগর থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী তাদের উদ্ধার করে প্রথমে জিয়াত্তং এলাকায় নিয়ে যান। যেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ৫ জেলে মংডু শহরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।


রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাহারছড়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফরিদ উল্লাহ।


আরও পড়ুন: কক্সবাজারের স্বপ্নের ট্রেনের টিকেটে সিন্ডিকেটবাজী


তিনি জানিয়েছেন, গত ১০ ডিসেম্বর সকাল সাতটার দিকে একটি ইঞ্জিন নৌকায় করে এ পাঁচজন জেলে সাগরের মাছ ধরতে যান। এরপর থেকে তারা নিখোঁজ হয়ে পড়েন।


নিখোঁজ জেলেরা হলেন, নৌকার চালক মোহাম্মদ আইয়ুব (৪৫), সৈয়দ আলম (৫০), সাইদুল ইসলাম (২০), মো. রফিক (২৩) ও হেলাল উদ্দিন (২০)। নিখোঁজ জেলেরা সবাই বাহারছড়ার হাজমপাড়ার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের  স্থানীয় বাসিন্দা।


ইউপি সদস্য ফরিদ উল্লাহ বলেন, রবিবার ভোরে মিয়ানমারের একটি নম্বর থেকে নিখোঁজ এক জেলের পরিবারে ফোন করা হয়। বিষয়টি পরিবারের সদস্যরা তাকে জানানোর পর ফোনে তিনি নিজেই কথা বলেছেন। জেলেরা জানিয়েছেন মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সাগর থেকে তাদের উদ্ধার করে জিয়াত্তং এলাকায় নিয়ে চিকিৎসা প্রদান করেছেন। সেনা বাহিনীর সদস্যরা ফোন করার সুযোগ দিয়েছে। বলেছে রাষ্ট্রীয়ভাবে যেন তাদের ফেরত নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়। এরপর এই ৫ জনের একটি ছবিও ফোনের ইএমও তে পাঠানো হয়েছে। জানানো হয়েছে জেলেদের মংডু শহরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।


আরও পড়ুন: কক্সবাজারে অস্ত্রসহ ডাকাত চক্রের ৬ সদস্য গ্রেফতার


ইউপি সদস্য ফরিদ উল্লাহ জানিয়েছেন, এব্যাপারে ইতিমধ্যে নিখোঁজ ডায়েরি এবং সংশ্লিষ্ট একাধিক দফতরে লিখিত আবেদন করেছেন নিখোঁজদের পরিবার। বিষয়টি রাষ্ট্রীয়ভাবে উদ্যাগ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।


এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মোঃ আদনান চৌধুরী বলেন, নিখোঁজ পাঁচ জেলের সন্ধান পাওয়া গেছে শুনে ভালোলাগলো। স্ব স্ব  জেলে  পরিবার গুলোকে যাবতীয় কাগজপত্র সহ আবেদন করার জন্য বলা হয়েছে। তাদেরকে দেশে ফেরত আনার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।


আরএক্স/