কক্সবাজারে অস্ত্রসহ ডাকাত চক্রের ৬ সদস্য গ্রেফতার


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:২৮ অপরাহ্ন, ২০শে নভেম্বর ২০২৩


কক্সবাজারে অস্ত্রসহ ডাকাত চক্রের ৬ সদস্য গ্রেফতার
ছবি: জনবাণী

কক্সবাজার শহরের কস্তুরাঘাটস্থ নতুন ব্রীজ এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ দেশিয় অস্ত্র-শস্ত্রসহ ডাকাত চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব ১৫।


সোমবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারস্থ র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।


গ্রেফতাররা হল, কক্সবাজার সদর উপজেলার দক্ষিণ মুহুরী পাড়ার মৃত লোকমান হাকিমের ছেলে মো: আব্দুল খালেক (২৯), একই এলাকার আবুল বাছেরের ছেলে মো. খাইরুল আমিন (৩০), কক্সবাজার পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডস্থ উত্তর নুনিয়ারছড়ার মো. হোসাইনের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম প্রকাশ সাদ্দাম (২৫), কক্সবাজার শহরের পেশকা পাড়ার মৃত শাহজাহানের ছেলে মোঃ আরিফুল ইসলাম (২৬), পৌরসভার ৯ ওয়ার্ডের খুইল্যা মিয়ার ছেলে মো. রায়হান (২৫) ও মহেশখালী উপজেলা দেবেঙ্গা পাড়ার মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান (২৬)।


তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দেশিয় তৈরি ৩টি এলজি, ৬ রাউন্ড কার্তুজ, ১টি একনলা বন্দুক, ২টি কিরিচ, ১টি রামদা, ২টি টর্চলাইট, নগদ ১৮ হাজার ৩০০ টাকা ও ৮টি মোবাইল ফোন।


কক্সবাজারস্থ র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, রবিবার রাতে একটি ডাকাত দল অস্ত্র-শস্ত্রসহ পৌরসভার কস্তুরাঘাটস্থ নতুন ব্রীজ এলাকায় অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে অভিযানে যায় র‌্যাবের একটি দল। অভিযানে র‌্যাবের পরিস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা দিক-বিদিক দৌড়ে পালিয়ে যেতে থাকে। এসময় ধাওয়া করে করে জলদুস্য সর্দার আব্দুল খালেক’সহ ৬ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দেশিয় তৈরি ৩টি এলজি, ০৬ রাউন্ড কার্তুজ, ০১টি একনলা বন্দুক, ২টি কিরিচ, ১টি রামদা, ২টি টর্চলাইট, নগদ ১৮ হাজার ৩০০ টাকা এবং ৮টি মোবাইল ফোন।


“ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা র্দীঘদিন ধরে অপরাধমূলক নানাবিধ কর্মকান্ডে জড়িত। চক্রটি কস্তুরাঘাট নতুন ব্রীজের এলাকায় অস্ত্র-শস্ত্রসহ সজ্জিত হয়ে ডাকাতির উদ্দেশ্যে অবস্থান করছিল বলে স্বীকার করে। ইতিপূর্বে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান করে পর্যটক ও স্থানীয় জনসাধারণকে অস্ত্র-শস্ত্রের ভয়-প্রীতি প্রদর্শন করে ডাকাতি’র পাশাপাশি চুরি, ছিনতাই, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়সহ বিভিন্ন অপরাধ কার্যক্রম পরিচালনা করতো। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ডাকাত দলের সর্দার আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে ০৯টি, সাইফুল ইসলাম প্রকাশ সাদ্দামের বিরুদ্ধে ০৫টি, আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৩টি এবং খাইরুল আমিনের বিরুদ্ধে ০৩টি মামলা রয়েছে তথ্য পাওয়া যায় বলেও জানায় র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।”


আরএক্স/