গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য হোগলা পাতা বিলুপ্তির পথে
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫:১৪ অপরাহ্ন, ২৩শে ডিসেম্বর ২০২৩
পটুয়াখালীসহ সকল জেলায় জেলায় আঁকা-বাঁকা গোধূলি গ্রামে প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেয়া ওই হোগলা পাতা দিনে দিনে হারিয়ে গেছে। সম্প্রতি গ্রাম গুলোতে এক সময় মানুষ ঐতিহ্যবাহী হোগলা পাতা দিয়ে কারুশিল্পে ব্যবহারিক বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করত।
সেগুলো নিজেদের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার হত এবং কেউ বা হাটে বাজারে কারুশিল্প তৈরি হোগলা পাতা বিক্রি করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করত। আধুনিক এই প্রজন্মের সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিক প্রযুক্তির কারণে হারিয়ে যাচ্ছে সেই পুরনো ঐতিহ্য গ্রাম বাংলার হোগলাা পাতা।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে সাংবাদিকের মোটরসাইকেল পুড়ে ছাই
ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ ওই নান্দনিক শিল্প হোগলা পাতা গ্রাম বাংলার বুকে বিলুপ্তির পথে।
আগের দিনে নদী-নালা, খাল-বিল ও পুকুর খাধাঁ খন্দ বিভিন্ন স্থানে দেখা মিলতো ঘনঘন হোগলা পাতা, ঝড় বৃষ্টির বাতাস আসলেই যেনো নেচে নেচে অচিরেই হেলে পরে এক একটার উপরে সেই সব দৃশ্যে দেখতে ও ভালো লাগতো। আগের দিনে মানুষ হোগলা পাতার চাটাই বিছানার নিচে ব্যবহার করতো, চাটাই দিয়ে ধান শুঁকাতো, নামাজ পড়ার পাটি, বই পড়া,বাতাস করার হাত পাখা, মাটির তৈরি হাঁড়ি পাতিলে খাবার ঝুলিয়ে রাখার শিকা, সহ বিভিন্ন জিনিস তৈরি করা হইতো। এ কারণে গ্রামের প্রায় বাড়িতে বাড়িতে হোগলাা পাতা দিয়ে এই সকল জিনিস বোনার প্রচলন ছিল। এক প্রকার বেশ কদর ছিল হোগলা পাতার।
এক যুগ আগেও গ্রামের প্রত্যেকের ঘরেই হোগলাার কাজকর্ম নিয়ে ব্যস্তত ছিল গ্রাম বাংলার মানুষ ৷ দরিদ্র ও নিম্নআয়ের সকল শ্রেণীর মানুষ তাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনে মক্তব, মসজিদ, মাদ্রাসা ও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে ব্যবহার করতো হোগলাা পাতার তৈরি চাটাই (পাটি)। বিশেষ করে গ্রামের সকল শ্রেণী পেশার মানুষ খাওয়া দাওয়া , নামাজ রোজা ও ঘুমানোর সকল কাজে হোগলা পাতা ব্যবহার প্রতিনিয়ত সঙ্গী ছিল । ওই সময় বিদ্যুৎবিহীন সকল গ্রামবাংলায় তীব্র গরমে মানুষের হোগলা পাতার হাতপাখা ব্যবহার ছিল নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় সঙ্গী। হোগলা পাতা ব্যবহার কমে যাওয়ায় এখন স্থানটি দখল করে নিয়েছে প্লাস্টিকের তৈরির মাদুর ও ইলেকট্রিক পাখা ও বিভিন্ন সরঞ্জাম।
আরও পড়ুন: সাভারে ছিনতাইকারীর কবলে পটুয়াখালীর এসিল্যান্ড
পটুয়াখালী কৃষি অফিসার দৈনিক জনবাণী কে জানায়, বিলুপ্ত হওয়া পুরনো ঐতিহ্য হোগলা পাতা গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক সমুদ্র উপকূলীয় বিভিন্ন স্থান ও এলাকায় অবহেলিত ভাবে জন্মে থাকে এই হোগলা পাতা। তবে এটাকে এখনকার প্রযুক্তি আধুনিক মানুষ বাণিজ্যিকভাবে কেউ আবাদ করে না।
ডিজিটাল বাংলাদেশ সোনার বাংলা উন্নত প্রযুক্তি তৈরি পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় পুরনো দিন পিছনে ফেলে তাই সকলে স্তরের গ্রামীণ জনগোষ্ঠী এই হোগলা পাতাকে সম্ভাবনাময় একটি শিল্প হিসেবেও বেছে নিতে পারে। গ্রামের সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে মেয়েরা অবসর সময় চাটাই বুনে বিক্রি করে আর্থিক লাভবান ও সচ্ছলতা ফিরিয়ে আন্ত।
তবে হোগলা পাতা ঋষি গবেষণা মাধ্যমে চাষের আওতায় আনা হবে এমন কোনো প্রযুক্তি তথ্য পাওয়া যায়নি।
আরএক্স/