‘মৃত’ ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করে আবার বিয়ে দেওয়া হয়


Janobani

জনবাণী ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬:৩০ অপরাহ্ন, ২৫শে ডিসেম্বর ২০২৩


‘মৃত’ ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করে আবার বিয়ে দেওয়া হয়
ছবি: প্রতীকী

ভারতের উত্তরাখণ্ডের হিমালয় ট্র্যাজেডিতে নিখোঁজ হন তিনি। তার সহযাত্রীর দ্বারা নিশ্চিত হয়ে তাকে মৃত বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু পরে কালিম্পংয়ের নিখোঁজ বাসিন্দা হরিপ্রসাদ ঘিমির (৭১) বাড়িতে ফিরে আসেন। হিন্দু ঐতিহ্য মতে, হরিপ্রসাদকে আবার নতুন নাম দিয়ে তার স্ত্রীর সাথে বিয়েদেওয়া হয়। টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে।


হরিপ্রসাদ ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করেন। ধর্মীয় স্থানে বেশি ঘুরে বেড়ানো তার। আর সেবার গিয়েছিলেন হরদ্বার। গত জুনের মাঝামাঝি আকস্মিক বন্যায় তিনি নিখোঁজ হন বলে খবর প্রকাশ হয়। এরপর গত ২৮ জুন তার ছেলে মেঘনাদ হরদ্বার একটি ফোন পান। ফোন করা ব্যক্তি নিজেকে গঙ্গাধর বলে পরিচয় দিয়ে বলেন, বন্যায় হরিপ্রসাদ ঘিমির মারা গেছেন।


আরো পড়ুন: মস্তিষ্কে বুলেট আটকে ছিল ১৮ বছর, যেভাবে মুক্তি পেলেন যুবক


হরিপ্রসাদের ছেলে মেঘনাদ জানান, এ খবর পায়ওয়ার পর বাবার মৃত্যুর পরদিন তার আত্মার মুক্তির জন্য বিভিন্ন ধরনের আচার অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়। কেননা, ওই ফোনকারী আমার বাবার দেহ অগ্নিকুণ্ডে পাঠানো হয়েছিল বলে জানান।


দুধ বিক্রি করে সংসার চালানো ৪০ বছর বয়সী মেঘনাদের ভাষ্য মতে, আমরা বাড়িতে বাবার শেষকৃত্যের কাজ সম্পন্ন করেছি।


মেঘনাদ আরও জানান, আমি মাথার চুল ফেলে দেই। মায়ের মাথার সিঁদুর ও পোটেও (নেপালি বিবাহিত মহিলাদের পরা নেকপিস) পানিতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়।


এর কিছুদিন পর গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (জিটিএ) কার্যনির্বাহী সদস্য কল্পনা তামাং মেঘনাদকে ফোন করে বলেন, তার বাবা হরিপ্রসাদ বেঁচে আছেন এবং বাড়িতে ফিরছেন। তামাং জানান, হরিপ্রসাদ সম্পর্কে তাকে অবহিত করেন পর্যটনের নির্বাহী পরিচালক সোনম ভুটিয়া।


আরো পড়ুন: ৮০০ বছরের পুরোনো জিঙ্কগো গাছ


তামাং আরও জানান, উত্তরখণ্ডে অবস্থানরত কলকাতা থেকে উদ্ধারকারী দলের এক বন্ধুর কাছ থেকে আমি ফোন পাই। সে আমাকে জানায়, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে পাহাড় থেকে একজন বৃদ্ধ নেপালি আছেন। আমি তার সাথে কথা বলতে চাই। পরে তার সাথে নেপালি ভাষায় কথা বলেছি। পরে গত ২ জুলাই হরিপ্রসাদকে কালিম্পং পাঠানো হয়েছে।


কালিম্পং পৌঁছানোর পর হরিপ্রসাদ ঘিমিরকে গৃহে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। হিন্দু ধর্মের বিশ্বাসমতে, কাউকে মৃত গণ্য করে আচার-অনুষ্ঠান শেষ করা হলে তাকে আবার পুনর্জন্ম নিতে হয়। এর ফলে হরিপ্রসাদের নতুন নামকরণের অনুষ্ঠান করা হয়। ছেলে মেঘনাধ জানান, এরপর আমার মায়ের সাথে গ্রামের মন্দিরে তার বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়।


এমএল/