পঞ্চগড়ে মৃদু ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭:৩৪ অপরাহ্ন, ৩১শে ডিসেম্বর ২০২৩
দেশের উত্তর প্রান্তের শেষ জেলা পঞ্চগড়ে শীতের দাপট বেড়েছে। দুদিন ধরে হঠাৎ করেই মৃদু ও মাঝারি শৈত্য প্রবাহ শুরু হয়েছে।প্রায় এক সপ্তাহ পর শীতের প্রকোপ বেড়েছে। এছাড়া তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকলে ও রবিবার হিমেল উত্তর পশ্চিমের বাতাস বইতে থাকায় প্রচণ্ড শীত অনুভূত হয়েছে।
রবিবার (৩১ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৫ থাকলেও শনিবারের চেয়ে শীতের দাপট ছিল অনেকটা বেশি। সকাল থেকে হিমেল বাতাস জনজীবনে অনেকটাই বেসামাল করে তোলে।
শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে শুক্ররবার ছিল ১১দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস।চলতি ডিসেম্বরের শেষ ও মাঝামাঝি সময়ে শীতের তীব্রতায় কাহিল ছিল পঞ্চগড়ের মানুষ। তা হঠাৎ করেই কমে যায়। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় অনেকটাই স্বাভাবিক ছিল জীবনযাত্রা।
কয়দিন ধরে ১১ থেকে ১২ ডিগ্রী সেলসিয়াসে তাপমাত্রা ওঠানামা করে। সকাল পেরিয়ে গেলেই মানুষ স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করতো। দুপুরের সূর্যের আলো ছড়িয়ে পড়তো চারদিক।এতে শীতের তীব্রতা ছাড়িয়ে গরম অনুভূত হতো।
রবিবার(৩১ডিসেম্বর) তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় ভোর থেকে শীত অনুভূত হতে থাকে। সাথে কিছু হিমেল হাওয়া বাইতে থাকে। সাথে কিছুটা কুয়াশার দেখা মেলে চারিদিক। পথে ঘাটে দেখা যায় অনেকে খঁড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করে।এদিকে জীবীকার তাগিদে পঞ্চগড় করতোয়া নদীতে পাথর শ্রমিকদের পাথর তুলতে দেখা যায়। দেখা যায় মাঠে-ঘাটে কৃষি কাজে ব্যস্ত অনেককে।
তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন জানুয়ারি মাসে শীতের মূল মৌসুম। ডিসেম্বর মাসে যেহেতু রোদের তাপ বেশি ছিল তাই শীত কিছুটা কম অনুভূত হয়। জানুয়ারি মাস পড়লে শীতের তীব্রতা আরো বাড়তে পারে।
এদিকে জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, সরকারিভাবে পাওয়া ২০ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত আছে। শীতবস্ত্রের জন্য আরো চাহিদা পাঠানো হয়েছে। শীত মোকাবেলায় প্রশাসন প্রস্তুত আছে।
আরএক্স/