মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে আগাম সবজি চাষে সাফল্য


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:৪৩ অপরাহ্ন, ৩রা জানুয়ারী ২০২৪


মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে আগাম সবজি চাষে সাফল্য
ছবি: জনবাণী

শ্রীনগরে আগাম সবজি চাষে সফল উদ্যোক্তা মো. সাইফুল ইসলাম। উপজেলার মুসলিমপাড়া-জুরাসার এলাকায় সড়কের পাশে খন্ড-খন্ড জমিতে তিনি টমেটো, ফুলকপি, লাউসহ নানান ধরণের আগাম সবজি চাষ করছেন। সে এরই মধ্যে সবজি চাষে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে এলাকায় পরিচিতি লাভ করেছেন। 


মৌসুমী সবজি চাষ থেকে বছরে অন্তত ১৫ লাখ টাকা আয় করছেন। তবে ঝূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে আবাদি সবজির ক্ষতির মুখে পড়েন তিনি। সাইফুলের জমিতে উৎপাদিত বিষমুক্ত টাটকা ফুলকপি ও লাউ বিক্রি হচ্ছে স্থানীয় সবজির পাইকারদের কাছে। জমিতে প্রায় ৮ হাজার ফুলকপির চারা রোপণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে আড়াই হাজার পিস আগাম লাউ বিক্রি করেছেন। 


আরও পড়ুন: শ্রীনগরে আগাম ধানের চারা রোপণ শুরু


এছাড়া ৫০ শতাংশ জমিতে উচ্চ ফলনশীল টমেটোর চাষ করা হচ্ছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বাগানের টমেটো বিক্রি শুরু হবে। স্থানীয়রা বলেন, শীতকালীন শাক-সবজির ভরা মৌসুমেও খোলা বাজারে এর দাম আকাশ চুম্বী। প্রকার ভেদে সব ধরণের সবজির কেজির বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা দরে। তাই স্থানীয় সবজি চাষীরা এ চাষে লাভবান হচ্ছেন। 


সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, গিয়ে দেখা যায়, ওই এলাকার সড়কের পাশে টুকরো টুকরো জমিতে আলাদা আলাদা ভাবে স্থানীয়রা ফুলকপি, লাউ, শিম, ডাটা, মুলা, মিষ্টি কুমড়া, টমেটোসহ অন্যান্য শাক-সবজির চাষাবাদ করছেন। আবাদি জমিতে শ্রমিকরা ফসলের যতে কাজ করছেন। আশরাফুল নামে এক কৃষি শ্রমিক জানান, থাইল্যান্ডী বিউটিফুল নামক লম্বা আকৃতির টমেটোর চাষ করেছেন সাইফুল ইসলাম। প্রায় ৪ হাজার টমেটোর চারা রোপণ করা হয়। গাছে থোকায় থোকায় টমেটো ধরেছে। এছাড়া ফুলকপি ও লাউ চাষ করা হয়েছে। এরই মধ্যে উৎপাদিত ফুলকপি ও লাউ বিক্রি হচ্ছে। 


আরও পড়ুন: শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশাছন্ন আবহাওয়ায় আলু চাষীদের করণীয়


কৃষক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, পার্শ্ববর্তী লৌহজং উপজেলার মালিরঅঙ্ক, নওপাড়া বাজারে সবজি বিক্রেতাদের কাছে উৎপাদিত শাক-সবজি বিক্রি করা হচ্ছে। তারা ফোনে সবজির অর্ডার দিচ্ছেন। প্রায় দেড়যুগ ধরে নিজস্ব জমিতে মৌসুমী শাক-সবজির আবাদ করছি। এখন এলাকার অনেকেই আগাম সবজি চাষের দিকে ঝুকছেন। খোলা বাজারে সবজির চাহিদা বেশী থাকায় দামও ভালই পাচ্ছি। এই শীত সিজনে প্রায় ৬ লাখ টাকার সবজি বিক্রির স্বপ্ন দেখছেন তিনি। 


উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, আড়িয়ল বিলের বিভিন্ন ভিটাসহ উপজেলায় প্রায় ৬৬০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন শাক-সবজির চাষ করা হচ্ছে। উচ্চ ফলনশীল শাক-সবজি চাষে আগ্রহী করে তোলার লক্ষ্যে স্থানীয়দের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।


জেবি/এজে