অফিসের পেসার সামলাবেন যেভাবে
জনবাণী ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭:০৯ অপরাহ্ন, ৮ই জানুয়ারী ২০২৪
অফিস মানেই বিভিন্ন প্রকার কাজের পেসার। টার্গেট, ডেডলাইন, অফিস পলিটিক্স আরও কত কী! তাই এতসবকিছু একা হাতে সামলাতে গিয়ে নিজেকে ভালো রাখাই কঠিন হয়ে পড়ে। আর বাড়িতে ফিরেও উদ্বিগ্নতা যেন কাটেই না। অফিসের চাপ সারাক্ষণই মাথায় নিয়ে ঘুরে বেড়াতে হয়। ফলে সম্পর্কে ফাটল ধরতে শুরু করে আপনজনদের সাথে। কারণ তাদের সাথে ভালো সময় কাটানোও তখন সম্ভব হয় না। তবে হ্যা অফিস থাকলে চাপও থাকবে। সবকিছু ম্যানেস করেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক অফিসের চাপ সামলানোর বিশেষ কিছু উপায়-
১. এককাপ চা
অফিসে কাজের ফাঁকে চা ব্রেক নিন। অর্থাৎ কিছুটা সময় বিরতি নিয়ে এককাপ চা অথবা কফিতে চুমুক দিন। এই পানীয়ের সুগন্ধ আর উষ্ণতা উপভোগ করুন। এই সময়ে দুই-একজন সহকর্মীর সঙ্গে আলাপও করতে পারেন। মন খুলে কোনো কথা কিংবা নিছকই আড্ডা। কথা বলতে পারলে আপনার চাপ কিছুটা কমবে। এই সাধারণ কাজটি আপনার মনের জন্য একটি রিসেট বোতাম হতে পারে, যা কাজে মনোযোগ ফিরিয়ে আনবে।
আরও পড়ুন: যেসব প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের ক্ষতি করে
২. বিরতি নিন এবং ফিরে আসুন
ইনস্টাগ্রাম এবং লিঙ্কডইনের বিজ্ঞপ্তিগুলো আপনার মানসিক চাপকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই পুরনো অভ্যাসে ফিরে যান অর্থাৎ আপনার রুটিনে ডিজিটাল যন্ত্রপাতি ব্যবহারের সময়টা সংক্ষিপ্ত করুন। বিরতি নিন। এসময় ইমেল, মেসেজ এবং বিভিন্ন বিজ্ঞাপন থেকে দূরে থাকুন, আপনার মনকে ফের সতেজ করে তুলুন। এই ছোট কাজটি তাড়াহুড়োর মধ্যে শান্তির অনুভূতি জাগিয়ে তুলবে।
৩. ছোট ছোট জয় উদযাপন করুন
ছোট ছোট জয় দিয়েই মানুষ একদিন বড় লক্ষ্যে পৌঁছায়। তাই আপনার একেবারে ক্ষুদ্র কোনো অর্জনও আনন্দের সঙ্গে গ্রহন করুন। সহকর্মীদের নিয়ে উদযাপন করুন। এটি আপনার মনকে প্রফুল্লই করবে না, সেইসঙ্গে আপনার চিন্তার ইতিবাচকতাও প্রকাশ করবে। ছোট একটি কেক কেটে কিংবা মিষ্টি খাইয়ে সবার সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিন। এতে সহকর্মীদের সঙ্গেও আপনার সম্পর্ক ভালো হবে।
আরও পড়ুন: শীতের ভোরে ঘুম থেকে উঠার নিয়ম
৪. কৃতজ্ঞ থাকুন
সব সময় চেষ্টা করুন কৃতজ্ঞ থাকার। ইতিবাচক চিন্তা করুন। সব ধরনের নেতিবাচকতাকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন। এতে আপনি সতেজ মন নিয়ে কাজ করতে পারবেন। কারও কাছ থেকে সামান্য উপকার পেলেও কৃতজ্ঞ থাকুন। গেজেটগুলো থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে ছোট বিরতি নিন। সহকর্মীদের সঙ্গে সুন্দর ব্যবহার করুন। আপনার কাজের চাপ অনেকটাই কমে আসবে।
৫. ‘না’ বলতে শিখুন
প্রতিটি কাজে হ্যাঁ বলার প্রয়োজন নেই। বিশেষ করে সেই কাজটি করতে যদি আপনি আত্মবিশ্বাস না পান। প্রয়োজনে ‘না’ বলতে শেখাটা হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা। বাউন্ডারি নির্ধারণ করা অভদ্রতা নয় বরং নিজের প্রতি যত্নশীলতার প্রমাণ। এতে অন্যরা বুঝতে পারবে যে আপনার কাছ থেকে কতটুকু আশা করা যায়। আপনার কাজগুলোকে অগ্রাধিকার দিন এবং চাপ অনুভব করলে নম্রভাবে অতিরিক্ত দায়িত্বগুলো প্রত্যাখ্যান করুন।
এমএল/