ঘুম থেকে ওঠার পর নাক বন্ধ হওয়া থেকে বাঁচার উপায়
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৪৫ অপরাহ্ন, ১৪ই মার্চ ২০২৫

প্রতিটা মানুষেরই ঘুম থেকে ওঠার পর নাক বন্ধ থাকা একটি বিরক্তিকর সমস্যা হতে পারে। দিনের শুরুটাই মেজাজ খিটখিটে করে দেয় ও শ্বাস-প্রশ্বাসকে জটিল করে তোলে। অ্যালার্জি থেকে শুরু করে সাইনাসে রক্তক্ষরণ, শুষ্ক বাতাস, এমন বেশ কিছু কারণ রয়েছে যা আপনার শ্বাস-প্রশ্বাসের পথ বন্ধ করে দিতে পারে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে যদি ঘন ঘন নাক বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে মুক্তভাবে শ্বাস নিতে এই কাজগুলো করুন-
আরও পড়ুন: যে কারণে খাবেন কাঁচা হলুদ
১. হাইড্রেটেড থাকুন
সাইনাসের রক্তক্ষরণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সবথেকে সহজ উপায়ের মধ্যে একটি হলো প্রচুর পরিমাণ তরল পান করা। পানি, ভেষজ চা এবং ঝোল শ্লেষ্মা পাতলা করে এবং নিষ্কাশন বৃদ্ধি করে। এ ধরনের খাবার নিয়মিত খেলে তা নাকের ব্লকেজ কমাবে।
২. ঘুমানোর সময় মাথা উঁচু করুন
মাথা উঁচু করে ঘুমালে সাইনাসে শ্লেষ্মা জমা হওয়া রোধ করা যায়। অতিরিক্ত বালিশ ব্যবহার করার চেষ্টা করুন অথবা মাথা সামান্য উঁচু করে বিছানা ঠিক করার চেষ্টা করুন।
৩. প্রয়োজনীয় তেল ব্যবহার করুন
ইউক্যালিপটাস এবং পেপারমিন্ট তেলে প্রাকৃতিকভাবে কনজেস্ট্যান্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ডিফিউজারে কিছু ফোঁটা দিলে বা বুকে রাখলে নাকের পথ পরিষ্কার থাকে। এতে শ্বাস নেওয়া সহজ হয়।
৪. হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন
নাকের পথকে শুষ্ক বাতাস জ্বালাতন করে ও রক্তক্ষরণের সৃষ্টি করে। হিউমিডিফায়ার বাতাসে আর্দ্রতা রাখে, আপনার সাইনাস শুকিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে এবং নাকের পথ খোলা রাখে।
৫. ওষুধ ব্যবহার
ডিকনজেস্ট্যান্ট স্প্রে, অ্যান্টিহিস্টামাইন এবং নাকের স্ট্রিপ সাময়িক উপশম প্রদান করতে পারে। তবে নাকের স্প্রে ব্যবহারে সতর্ক থাকুন, কারণ অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে পুনরায় কনজেশন হতে পারে। এগুলো চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
৬. নাসাল ইরিগেশন
নেটি পট বা স্যালাইন স্প্রে ব্যবহার করে স্যালাইন রিন্স ব্যবহার করলে নাকের পথ থেকে জ্বালাপোড়া, অ্যালার্জেন এবং অতিরিক্ত শ্লেষ্মা বের হয়ে যেতে পারে, যা তাৎক্ষণিক উপশম প্রদান করে।
আরও পড়ুন: শরীরে কাঁপুনি দেখা দেয় যেসব ভিটামিনের অভাবে
৭. গরম পানিতে গোসল বা ভাপ নেওয়া
বাষ্প নাকের পথ পরিষ্কার করতে পারে এবং শ্লেষ্মা আলগা করতে পারে। সকালে গরম পানিতে গোসল করলে বা গরম পানির পাত্র থেকে বাষ্প শ্বাস নিলে তা রক্ত জমাট বাঁধা থেকে প্রায় তাৎক্ষণিক উপশম দিতে পারে।
এসডি/