শৈত্যপ্রবাহের শেষেই বৃষ্টিপাতের আভাস


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:৪০ অপরাহ্ন, ১২ই জানুয়ারী ২০২৪


শৈত্যপ্রবাহের শেষেই বৃষ্টিপাতের আভাস
ফাইল ছবি

তাপমাত্রার পারদ কিছুটা কমে আবারও দেশের চার জেলায় শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। চার জেলায় শৈত্যপ্রবাহের সাথে শীতল বাতাসে কাঁপছে দেশের বিস্তীর্ণ জনপদ। বিভিন্ন এলাকায় শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দুপুর পর্যন্তও সূর্যের দেখা মেলেনি; ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডা হাওয়ায় জবুথবু অবস্থা রাজধানীসহ উত্তরাঞ্চলজুড়ে।


এদিন সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসের তথ্য মতে জানা যায়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্তও অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে কিছুটা বিঘ্ন ঘটতে পারে।


এ সময়ে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রার পারদ সামান্য কমতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও দিনের বেলা ঠান্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে।


আরও পড়ুন: নওগাঁয় হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন


কিশোরগঞ্জের নিকলি ও চুয়াডাঙ্গায় আজ সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। এ ছাড়াও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঈশ্বরদীতে ৯ দশমিক ৮ ও দিনাজপুরে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকোর্ড করা হয়। ঢাকার তাপমাত্রার পারদ ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে নেমে শুক্রবার তাপমাত্রা সর্বনিম্ন হয়েছে ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


বড় এলাকাজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়; ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মাঝে থাকলে মাঝারি এবং ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী চার জেলায় এখন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে এই শৈত্যপ্রবাহের ব্যাপ্তি ধীরে ধীরে কমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে মেঘের আড়ালে সূর্য, জনজীবন দুর্ভোগে


আবহাওয়ার পূর্বাভাস থেকে আরও জানা যায়, ১৪ তারিখ পর্যন্ত সারাদেশে শৈত্যপ্রবাহের এমন পরিস্থিতি বিরাজ করবে। এর পরের সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত হতে পারে। শীতের প্রভাবে রাজধানীর তুলনায় দেশের উত্তরবঙ্গের জনজীবন অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে। দিনের অধিকাংশ সময় সূর্যের দেখা না পাওয়ায় কমে আসছে তাপমাত্রা। সেই সাথে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় কয়েক গুণ বাড়িয়েছে শীতের কাঁপুনি।


এমন অবস্থায় বিকেল নেমে এলেই ঘন-কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে প্রকৃতি। এ পরিস্থিতেতে নিম্ন আয়ের মানুষ চরম ভোগান্তি পৌঁছেছে। আবার জেঁকে বসা শীতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ। স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ।


এমএল/