রাষ্ট্রীয় মর্যাদার পর চির নিন্দ্রায় শায়িত বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন আব্দুস সোবহান


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:২৩ অপরাহ্ন, ১৩ই জানুয়ারী ২০২৪


রাষ্ট্রীয় মর্যাদার পর চির নিন্দ্রায় শায়িত বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন আব্দুস সোবহান
বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন আব্দুস সোবহান। ছবি: জনবাণী

মুক্তিযুদ্ধকালীন কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার কমান্ডার, সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন আব্দুস সোবহানকে রাষ্ট্রিয় গার্ড অফ অনার প্রদানের পর চির নিন্দ্রায় শায়িত করা হয়েছে।


শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকাল ৩ টায় তাঁর প্রতিষ্ঠিত মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাযার নামাজ শেষে রাষ্ট্রের পক্ষে গার্ড অফ অনার প্রদান করেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানবির হোসাইন। এরপর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, প্রশাসনিক ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের পক্ষ থেকে গার্ড অফ অনার প্রদান করা হয়। এরপর জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানকে গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থাণন চির নিন্দ্রায় শায়িত করা হয়।


আরও পড়ুন: কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে ফেব্রুয়ারিতে যুক্ত হচ্ছে ‘কমিউটার ট্রেন’


জানাযা পূর্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন আব্দুস সোবহানকে শ্রদ্ধা জানিয়ে স্মৃতিচারণমুলক বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক, পেশাজীবী নেতবৃন্দ।


শুক্রবার রাত ৯ টায় হলদিয়া পালং ইউনিয়নের পশ্চিম মরিচ্যার নিজ বাসভবনে তিনি পাড়ি জমান না ফেরার দেশে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮২ বছর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বার্ধক্যজনিত নানান রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ পুত্র ও ৪ কন্যাসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।


মুক্তিযুদ্ধে ১ নম্বর সেক্টরের অধীনে আব্দুস সোবহান কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার কমান্ডার ছিলেন। কয়েকটি সম্মুখযুদ্ধে তাঁর নেতৃত্ব পরিচালিত মুক্তিযোদ্ধাদের দলটি বীরত্বপূর্ণ সফলতাও পান। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য স্বাধীনতা লাভের সরকার তাঁকে সেনাবাহিনীর সম্মানসূচক ‘ক্যাপ্টেন’ পদমর্যাদার স্বীকৃতি দেন।


আরও পড়ুন: মেরিন ড্রাইভে পর্যটকের জন্য ছাদখোলা বাসের উদ্বোধন


মুক্তিযুদ্ধে বিজয় লাভের প্রাক্কালে ১৯৭১ সালের ১২ ডিসেম্বর আব্দুস সোবহানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল জিপগাড়ী নিয়ে জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে কক্সবাজার শহরে প্রবেশ করে। ওইদিন বিকালে ঐতিহাসিক কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরী ও ইন্সটিটিউটের শহীদ দৌলত ময়দানে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে কক্সবাজারকে শত্রুমুক্ত ঘোষণা করেন।


আরএক্স/