শৈত্য প্রবাহে পাবনায় জনজীবন বিপর্যস্ত
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১:১৯ পূর্বাহ্ন, ১৪ই জানুয়ারী ২০২৪
গত চার দিন ধরে পাবনা অঞ্চলে চলছে তীব্র শৈত্য প্রবাহ। জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.০২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে আবহাওয়া অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আরও পড়ুন: শীতের দাপটে কাঁপছে দেশ, তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রিতে
ঘন কুয়াশা, কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষকে। শীতের কারণে পাবনা শহর এবং বিভিন্ন রাস্তা ঘাটে মানুষের চলাচল একেবারেই কম পরিলক্ষিত হচ্ছে।
গত ২ দিনে পাবনায় সূর্যের মুখ দেখা যায় নি। শীতবস্ত্র গায়ে দিয়েও গ্রামাঞ্চলের মানুষ খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। ভোরে কুয়াশা বৃষ্টির মত পড়তে দেখা যায়। তীব্র শীতের কারণে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন বয়সের মানুষ।
পাবনার ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস জানান, রবিবার এ অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পাবনা জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে তীব্র শৈত্য প্রবাহের কারণে হাসপাতালে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। এসব রোগীর মধ্যে সর্দি, কাশি, শিশুদের নিউমোনিয়া, বয়স্কদের শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শীত থাকবে মাস জুড়ে, বাড়বে শৈত্যপ্রবাহ
বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শীতের তীব্রতার কারণে কৃষক এবং শ্রমজীবীদের বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তীব্র শীত উপেক্ষা করে তাদেরকে পেটের দায়ে কাজে বের হতে হচ্ছে। জেলার প্রত্যন্ত গ্রামে গবাদি পশু-পাখিও শীতে কাবু হয়ে পড়েছে। শহর ও বিভিন্ন হাট-বাজারে গরম কাপড়ের দোকানে মানুষ ভীড় করছে। এ সুযোগে অনেক দোকানদার গরম কাপড়ের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
এদিকে শীতেরে তীব্রতা বাড়ায় প্রতিদিন সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি উদ্যোগে দুঃস্থ অসহায় শীতার্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।
আরএক্স/