নড়াইলে শীতের তীব্রতায় বিপর্যস্ত জনজীবন


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:২৯ অপরাহ্ন, ১৪ই জানুয়ারী ২০২৪


নড়াইলে শীতের তীব্রতায় বিপর্যস্ত জনজীবন
ছবি: জনবাণী

নড়াইলে কনকনে বাতাস ও শীতের তীব্রতায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বৈরী আবহাওয়ায় গত তিনদিন ধরে শীতের তীব্রতা বাড়ায় জনজীবন অচল হয়ে পড়েছে। দৈনন্দিন আয় রোজগার কমে যাওয়ায় খেটে খাওয়া মানুষগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছেন। 


শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) থেকে শীতের তীব্রতা বেড়েছে এ জেলায়। দিন পেরিয়ে রাত এলেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির ফোঁটার মতো কুয়াশা ঝরছে। 


আরও পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গ পটুয়াখালী তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত


তীব্র হিমেল বাতাসে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষজনের অবস্থা বিপন্ন হয়ে পড়েছে। অনেক দিনমজুর কাজের সন্ধানে সকালে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। প্রচন্ড শীতে আর কুয়াশার মধ্যেই গায়ে শীতের কাপড় জড়িয়ে কাজের সন্ধানে ছুটছেন কর্মজীবী মানুষরা। শীত উপেক্ষা যারা বের হচ্ছেন তারা স্বাভাবিক পরিবেশ না থাকায় কর্মবিমূখ অবস্থায় বাড়ি ফিরছেন। শহরের রাস্তাগুলোতে লোকজন চলাচল কম থাকার কারণে রিকশা,অটোরিকশা,সিএনজি,ভ্যান চালকরা যাত্রী না পাওয়ায় আয় কমে গেছে তাদের। বাসের যাত্রীও অর্ধেকে নেমে এসেছে।দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চালাতে হচ্ছে যানবাহনগুলো।


অসহায়,দু:স্থ ও ছিন্নমূল মানুষ আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডায় নষ্ট হচ্ছে ধানের বীজতলা। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। শীতের তীব্রতায় মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশুরাও ঠান্ডায় কষ্ট পাচ্ছে।


নড়াইল শহরের রিকশা চালক এনায়েত মিয়া (৬৫) জানান, ‘তীব্র শীত আর কনকনে ঠান্ডার মধ্যে রিকশা চালাতে অনেক কষ্ট হয়। তবুও পেটের দায়ে বের হতে হয় বাড়ি থেকে।’  


জেলার লোহাগড়া উপজেলার মঙ্গলহাটা গ্রামের কৃষক মনিরুল ইসলাম জানান, ‘তারা ভোর থেকেই মাঠে কাজ করেন। কিন্তু তীব্র শীত আর কনকনে ঠান্ডা বাতাসের কারণে মাঠে কাজ করতে পারছেন না। বৈরি আবহাওয়ায় কৃষিকাজে প্রচন্ড সমস্যা হচ্ছে।’


আরও পড়ুন: মোরেলগঞ্জে তীব্র শীতে বিপর্যস্ত নিম্ন আয়ের মানুষ


লোহাগড়ার সিএন্ডবি চৌরাস্তা মোড় এলাকায় কথা হয় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চালক তারা মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, ‘ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসে মানুষ ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছেন না। আগে দিনে ৫শ’ থেকে ৮শ’ টাকা আয় হত। গত তিন দিন ধরে সারা দিনেও ৩শ’ টাকার বেশি আয় হচ্ছে না। খুব কষ্টে দিন যাচ্ছে। একদিকে আয় কম,অন্যদিকে বাজারের সব জিনিসের দাম বেশি। ঘন কুয়াশা শুরু হলে হেডলাইট জ্বালিয়েও কিছুই দেখা যায় না।’


নড়াইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী জানান, ‘তীব্র শীতে অসহায়,দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের শীত নিবারণের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।


আরএক্স/