সাকিবকে পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রংপুর রাইডার্স

টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান চোটের কারণে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে ছিলেন। এবার বিপিএলকে সামনে রেখে রংপুর রাইডার্সের হয়ে মাঠ মাতাতে ইতোমধ্যে অনুশীলন শুরু করেছেন তিনি। তবে চোখের সমস্যার জন্য বিপিএলের শুরু থেকে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে মাঠে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ, সাকিব রাতেই চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যাচ্ছেন।

রবিবার (১৪ জানুয়ারি) বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে রংপুর রাইডার্সের অনুশীলনের সময় ছিল বেলা ১১ টায়। সবাই ঠিক সময়ে হাজির হলেও, সাকিব মাঠে আসেন এক ঘণ্টা পরে।

আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেই মাঠে ফিরতে চান এবাদত

তবে এদিন সাকিবকে দেখা গেল ভিন্ন রূপে। ব্যাটিং অনুশীলনের সময় চোখে চশমা পরেই মাঠে নামেন তিনি। বিশ্বকাপ চলাকালীন সময় যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল, সেটা এখনও বেশ ভোগাচ্ছে তাকে। বল দেখতে অসুবিধা হওয়ায় চশমা পরে মাঠে নামেন সাকিব।

জানা গেছে, চোখের সমস্যার কারণে বল দেখতে এবং ব্যাটিংয়ের সময় মাথার পজিশন ঠিক থাকছে না সাকিবের। তাই রাতেই চিকিৎসার জন্য লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। যদি রিপোর্ট ভালো হয়, তাহলে বিপিএলের শুরু থেকে মাঠে দেখা যাবে তাকে। অন্যথায় মিস হতে পারে শুরুর দিকের কয়েকটি ম্যাচ।

এর আগে এক সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেছিলেন, বিশ্বকাপের পুরোটা সময়েই চোখের রেটিনার সমস্যায় ভুগেছিলেন ক্রিকেটের এই পোস্টার বয়। যার কারণে সমস্যা হচ্ছিলো শট খেলতে গিয়ে, বিশ্বকাপে কেবল এক কিংবা দুই ম্যাচের জন্য নয়, বরং পুরোটা বিশ্বকাপই আমি চোখের সমস্যায় ভুগেছিলাম।

আরও পড়ুন: এমপি সাকিব প্রসঙ্গে যা বললেন কোচ সালাউদ্দিন

সাকিব নিজের সমস্যা নিয়ে আরও বলেছিলেন, যখন আমি ভারতে থাকা অবস্থায় ডাক্তারের কাছে যাই, তখনও আমার কর্ণিয়ায় বা রেটিনায় পানি জমে ছিল। তারা আমাকে ড্রপ্স দিয়েছিল এবং বলা হয়েছিল মানসিক চাপ কমাতে। আমি জানিনা এটাই সমস্যার (চোখের দৃষ্টি কমে আসা) কারণ কিনা। কিন্তু যখন আমি আবার আমেরিকায় (বিশ্বকাপের পর) পরীক্ষা করাই, তখন আমার কোনো প্রকার চাপ ছিল না। আমি ডাক্তারকে জানিয়েছিলাম, বিশ্বকাপ নেই। তাই পেসারও নেই।

তাই বিপিএল আসরের শুরু থেকে সাকিবকে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে রংপুর রাইডার্স। শনিবার (২০ জানুয়ারি) তাদের প্রথম ও গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ফরচুন বরিশালে বিপক্ষে অনুষ্ঠিত হবে, ফলে সেই ম্যাচে সাকিবের অভাব হাড়ে হাড়ে টের পাবে দলটি।

এমএল/