র্যাব হেফাজতে মৃত্যু, পরিবারের দাবি পিটিয়ে হত্যা
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরের টঙ্গীতে র্যাবের নির্যাতনে এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। নিহত ব্যক্তির নাম আসাদুল ইসলাম আসাদ (৪৫)। তিনি মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি থানার হাসাইল গ্রামের মৃত আবদুল হাইয়ের ছেলে। তিনি এরশাদ নগর ৫নং ব্লকে পরিবার নিয়ে বসবাস করে স্থানীয় একটি গাড়ির গ্যারেজ পরিচালনা করতেন।
নিহতের স্ত্রী জেসমিন আক্তার জানিয়েছেন, গতকাল শনিবার (১ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে র্যাব পরিচয়ে ৬ থেকে ৭ জন ব্যক্তি এরশাদনগর ৫নং ব্লক কবরস্থান-সংলগ্ন তাদের টিনশেড বাড়িতে প্রবেশ করে। পরে মাদক আছে এমন সংবাদে পুরো বাড়িতে তল্লাশি চালায় র্যাব সদস্যরা। এর কিছুক্ষণ পর বাড়িতে র্যাবের পোশাক পরিহিত আরও একটি দল প্রবেশ করে। মাদকের তথ্য জানতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঘরের ভেতর আসাদকে আটকে রেখে পিটিয়ে নির্যাতন করে।
নিহতের ছেলে নিহাদ বলেন, বাবাকে যখন মারধর করা হচ্ছিল, তখন আমাকে পাশের রুমে আটকে রাখা হয়। র্যাব সদস্যরা আমাকে মেরে ফেলবে এমন হুমকি দিয়ে বাবার কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য জানতে চায়। কিন্তু আমার বাবা বরাবরই মাদকের সঙ্গে জড়িত না বলে র্যাব সদস্যদের জানায়। এ সময় র্যাবের সদস্যরা পাশের রুম থেকে আমাকে চিৎকার করার পরামর্শ দেয় যেন বাবা ভয়ে স্বীকারোক্তি দেয়। নির্যাতনের একপর্যায়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে অচেতন অবস্থায় বাবাকে র্যাবের গাড়িতে উঠিয়ে হাসপাতালে আনা হয়। কিন্তু হাসপাতালে আনার পথেই বাবা মারা গেছেন।
এদিকে আসাদের মরদেহ টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ করে র্যাব সদস্যদের বিচার দাবি করেন। এ সময় হাসপাতালে উপস্থিত র্যাব সদস্যরা ঘটনার বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি।
ঘটনার দিন গতকাল শনিবার রাত ৯টায় হাসপাতালে আসেন র্যাব-১-এর অধিনায়ক আবদুল্লাহ আল মোমেন। এ সময় তিনি নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
পরে তিনি বলেন, নিহত আসাদ মাদক কারবারে জড়িত এমন খবরে র্যাব সদস্যরা তার বাড়িতে অভিযান চালায়। পরে সেখানে র্যাব সদস্যদের সঙ্গে তার ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় দুই র্যাব সদস্যসহ তিনি আহত হন। আহত অবস্থায় আসাদকে হাসপাতালে নিয়ে আসার ২০ মিনিট পর তিনি মারা গেছেন।