রাজধানীতে রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘিরে সতর্ক অবস্থানে পুলিশ

সামনে শুরু হয়ে এ মিছিল কাকরাইল ও মালিবাগ মোড় হয়ে মগবাজার মোড় গিয়ে শেষ হবে।
বিজ্ঞাপন
রাজধানীতে ‘শান্তি ও গণতন্ত্র’ সমাবেশ করবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ৷ একই দিনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল ও দ্রব্যমূল্য বাড়ার প্রতিবাদে মহানগরে কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বেলা ২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শুরু হয়ে এ মিছিল কাকরাইল ও মালিবাগ মোড় হয়ে মগবাজার মোড় গিয়ে শেষ হবে।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে, এদিন বিকেল ৩টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আ. লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সামনে ‘শান্তি ও গণতন্ত্র’ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীতে রাজনৈতিক দুটি দলের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা জোরদার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ বলছে, “রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যাতে কেউ কোনো বিশৃঙ্খলা বা নাশকতার সৃষ্টি না করতে পারে সেজন্য গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিশ। পোশাকে পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশও মাঠে কাজ করছে। পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ সাইবার স্পেস কড়া নজরদারি করছে।”
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, নয়া পল্টন থেকে ফকিরাপুল মোড় হয়ে বিজয়নগর ও নাইটিঙ্গেল মোড়ে বিএনপির কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। একইভাবে রাজধানীর পুরান পল্টন থেকে গুলিস্তানে হয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ পর্যন্ত পুরো এলাকা ও আশপাশের এলাকার নিরাপত্তায় রয়েছে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
আ. লীগের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও বিএনপির ঘোষিত কর্মসূচি কালো পতাকা মিছিলকে কেন্দ্র করে যাতে কেউ বা কোনো গোষ্ঠী নাশকতা বা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে সেজন্য সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ বলছে, “রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিঘ্ন ঘটালে অপরাধী যেই হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
বিজ্ঞাপন
নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে, মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান গণমাধ্যমকে জানান, “রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে কেউ যদি আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিএনপির কালো পতাকা মিছিলকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।”
জেবি/এসবি
বিজ্ঞাপন