তেতুঁলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫:২২ অপরাহ্ন, ২৮শে জানুয়ারী ২০২৪
পঞ্চগড়ে সকালে ঝলমলে রোদ দেখা দিলেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টানা শৈত্য প্রবাহ ও কনকনে শীতে মানুষের জনজীবনে মারাত্নক প্রভাব পড়েছে।
তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অফিস সূত্রে জনা যায়, রবিবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের সর্ব নিম্ন তাপমাত্রা। তবে ভোর ৬ টায় তাপমাত্রা রেকড করা হয় ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।তাপমাত্রার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে বইছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ, সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড
তবে এই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, রবিবার (২৮ জানুয়ারি) ৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপামাত্রা এটি। তবে ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকড করা হয়েছিল ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে শনিবার (২৭জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্ররবার (২৬ জানুয়ারি) সর্ব নিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে কদিন ধরে সূর্যের আলোর ঝলকানিতে কনকনে শীতে মানুষ কিছুটা স্বস্তি পাওয়ায় বাইরে যেতে পারছে।মৃদু ও মাঝারি শৈত্য প্রবাহ এবং সাথে ঘনকুয়াশায় মানুষ কাবু হয়ে পড়ে।
শীতের দাপটে শীত জনিত রোগে এবারে বেড়েছে রোগির সংখ্যাও। জেলার সদর ও উপজেলা সরকারি হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে এমন রোগির সংখ্যাও। চিকিৎসকরা শিশু ও বয়স্কদের বাড়ির বাইরে না যাওয়ার কথা বলছেন। শিশুদের ঠান্ডা না লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া বাসি খাবার পরিহার করে গরম খাবার খাওয়ার কথা জানান।
আরও পড়ুন: শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল, ঠান্ডায় স্থবির জনজীবন
পঞ্চগড় শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ি শাহানশাহ বলেন এমন ঠান্ডা সহ্য করা কঠিন। সদর উপজেলার ঘাটিয়াপাড়ার বাসিন্দা আকমল হোসেন বলেন‘ খুব ঠান্ডা। আমি গাড়ি চালক ‘ কাজে যাওয়া বেশ কঠিন। মীরগড় করতোয়া নদীতে গিয়ে দেখা যায় ,পাথর ও বালু তুলতে শ্রমিকরা কাজ করছে। দুরের ব্যবসায়িরা ও এসে পাথর বাল, নিয়ে যাচ্ছে পরিবহনে।
তেতুঁলিয়া আবহাওয়া দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন‘ ভূপৃষ্টে রোদের তাপ পড়লে কিছুটা শীত কমে। তবে জানুয়ারি মাসে আস্তে আস্তে কমতে পারে শীত।
আরএক্স/