আমি তো বাচ্চা মেরে ফেলি নাই, নবজাতকের পিঠ কাটা প্রসঙ্গে চিকিৎসক


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:৫১ অপরাহ্ন, ২৮শে জানুয়ারী ২০২৪


আমি তো বাচ্চা মেরে ফেলি নাই, নবজাতকের পিঠ কাটা প্রসঙ্গে চিকিৎসক
ছবি: জনবাণী

বরগুনার তালতলীর একটি ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনের সময় নবজাতকের পিঠ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানালে উল্টো ওই চিকিৎসকের তোপের মুখে পড়েন শিশুটির স্বজনরা। বাধা দেয়া হয় সংবাদ সংগ্রহেও। এ বিষয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক বলছেন, ‘আমি তো বাচ্চা মেরে ফেলি নাই, মেরে ফেলেছি? বলেন? এইটুকু কাটলে কি মানুষ মারা যায়?’


শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে তালতলীর দোয়েল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।


তালতলী উপজেলার বড় বগী ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের তালতলী বাজারের বাসিন্দা মোহাম্মদ সোহাগের স্ত্রী লিপি আক্তারের সিজারিয়ান অপারেশনের সময় এ ঘটনা ঘটে।


শিশুর স্বজনরা জানান, প্রসব ব্যথা উঠলে শনিবার দুপুরে লিপি আক্তারকে নিয়ে যাওয়া হয় তালতলীর দোয়েল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। পরে রাতে লিপি আক্তারের সিজারিয়ান অপারেশন করান ক্লিনিকের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রুনা রহমান। অপারেশনের একপর্যায়ে নবজাতকের কান্নার শব্দ শুনলেও বের করা হচ্ছিল না অপারেশন থিয়েটার থেকে। দীর্ঘ সময় পর নবজাতককে স্বজনদের কাছে দেয়া হলে তখন নবজাতকের পিঠ কাটা দেখতে পান স্বজনরা। কাটা স্থান থেকে তখনও বের হচ্ছিল রক্ত। তবে অভিযোগ অস্বীকার না করলেও সিজারিয়ান অপারেশনের সময় শিশুর পিঠ কাটার পক্ষে নানা যুক্তি দেন চিকিৎসক রুনা রহমান।


আরও পড়ুন: তালতলীতে সরিষা চাষ বেড়েছে তিনগুণ


শিশুটির বাবা মোহাম্মদ সোহাগ বলেন, ‘অপারেশনের পর অপারেশন থিয়েটারে নবজাতকের কান্নার শব্দ শুনতে পাই আমরা। এর প্রায় এক ঘণ্টা পর শিশুটিকে আমাদের কাছে দেয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর আমার স্ত্রী লিপিকে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের করা হয়। তখন তিনি সিজারিয়ান অপারেশনের সময় নবজাতকের পিঠ কেটে ফেলার কথা আমাদের জানান। তারপর আমরা যাচাই করে এর সত্যতা পাই। তখনও আমার সন্তানের কাটা স্থান থেকে রক্ত পড়ছিল। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানালে চিকিৎসক রুনা রহমান আমাদের ওপর চড়াও হন।


আরও পড়ুন: তালতলীতে বাবা-ছেলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম গাঁজাসহ আটক


এ বিষয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক রুনা রহমান বলেন, ‘আপনি আমার সুবিধা দেখবেন, আমি আপনার সুবিধা দেখব। আমি তো বাচ্চা মেরে ফেলি নাই, মেরে ফেলেছি বলেন, এইটুকু কাটলে কি মানুষ মারা যায়।


এ বিষয়ে বরগুনার তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, এ ঘটনায় আমরা এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। ভুক্তভোগী নবজাতকের পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগ দেয়া হলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।


জেবি/এসবি