প্রধান বিচারপ্রতির বাসভবনে হামলা: মির্জা ফখরুলের জামিন নামঞ্জুর


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩:৩৯ অপরাহ্ন, ১লা ফেব্রুয়ারি ২০২৪


প্রধান বিচারপ্রতির বাসভবনে হামলা: মির্জা ফখরুলের জামিন নামঞ্জুর
মির্জা ফখরুল - ফাইল ছবি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে হামলা ও ভাঙচুর চালানো ঘটনায় রমনা মডেল থানায় দায়ের করা মালায় জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত ।


বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারী) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন।


প্রধান বিচারপ্রতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় এমামলায় জামিন নামঞ্জুরের মাধ্যমে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখনই কারামুক্তি হচ্ছেন না। এই একটি মামলায় তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।


এরআগে, গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট মাহবুব আহমেদের আদালতে জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী। এ মামলার নথি মহানগরে সিআরমিস শুনানির জন্য ছিলো। সেকারণে বিচারক মামলার নথিপ্রাপ্তি সাপেক্ষে জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে আদেশ দেন।


আরও পড়ুন: ঝিনাইদহ-১ আসনের এমপি পদ উচ্চ আদালতে স্থগিত


২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ ঘিরে হামলা, ভাঙচুর, সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়। এর মধ্যে পল্টন থানায় আটটি ও রমনা মডেল থানায় তিনটি মামলা হয়। তবে এই ১১ মামলার মধ্যে ১০টিতেই তার জামিন মঞ্জুর করেন বিচারিক আদালত। শুধু প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় জামিন আবেদন খারিজ করেন হাইকোর্ট।


এ মামলায় গত ২২ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। এরপর জামিন চেয়ে গত ৩ ডিসেম্বর হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। আবেদনের শুনানি নিয়ে ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট জামিন প্রশ্নে রুল দেন। এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।


আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা: মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন



এরই ধারাবাহিকতায় গত ১০ জানুয়ারি হাইকোর্ট জামিন প্রশ্নে রুল খারিজ করলে জামিনের পথ রুদ্ধ হয়ে যায় মির্জা ফখরুলের। রুল খারিজের রায়ে ওইদিন আদালত বলেন, অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনা করে এ মুহূর্তে (ফখরুলকে) জামিন দেওয়া হলে তদন্ত বাধাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যে কারণে এ মুহূর্তে তাকে জামিন দেওয়া সমীচীন হবে না।


গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায়। ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুলকে আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় ওইদিনই গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষ জামিন চেয়ে আবেদন করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত ফখরুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।


মির্জা ফখরুল ছাড়াও এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, আহমেদ খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবদিন ফারুক, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার ও সদস্যসচিব আমিনুল হক।


জেবি/এসবি