সৈয়দ মাছ-উদ রুমী সেতুর টোল আদায় বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

পায়ে চালিত কোন বাহনের টোল দেওয়া হবে না: এমপি রউফ


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭:১৪ অপরাহ্ন, ১৩ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪


পায়ে চালিত কোন বাহনের টোল দেওয়া হবে না: এমপি রউফ
সৈয়দ মাছ-উদ রুমী সেতু থেকে পায়ে চালিত বাহনের টোল বন্ধের জন্য মানববন্ধন।

কুষ্টিয়ার কুমারখালী সৈয়দ মাছ-উদ রুমী সেতুতে পায়ে চালিত বাহনের টোল আদায় বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। 


মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে সেতু সংলগ্ন এলাকায় মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করেছেন কুমারখালীর আপামর জনসাধারণ। কুষ্টিয়া -৪ আসনের সাংসদ এবং বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদমন্ত্রলয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য  আব্দুর রউফ মোবাইল ফোনে জানান, "পায়ে চালিত কোন বাহনের টোল দেওয়া হবেনা, প্রয়োজনে আমি দাঁড়িয়ে থাকবো"।


কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক জাকারিয়া খান জেমসের সার্বিক তত্বাবধানে মানববন্ধন কর্মসূচিতে  সভাপতিত্ব করেন কুমারখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খান। এসময় পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক খান, পৌর কাউন্সিলর ফরিদ ইকবাল খান, নন্দলালপুর ইউনিয়ন এর সাবেক চেয়ারম্যান নওশের আলী বিশ্বাস, জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ওয়াসিম আকরাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক আশাদুর রহমান আশা, আওয়ামীলীগ নেতা মাসুদ পারপেজ, ছাত্রলীগ নেতা মুশফিকুর রহমান শান্তসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।


মানববন্ধন শেষে কুষ্টিয়া  জেলা প্রশাসক এর নিকট টোল আদায় বন্ধের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। 


মানববন্ধনের বিষয়টি নিয়ে কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য এবং বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদমন্ত্রলয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য  আব্দুর রউফ ভিডিও কলে যুক্ত হয়ে জানান, পায়ে চালিত বাহনের টোল বন্ধের জন্য ইতিমধ্যে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। এবং বিষয়টি অর্থ  মন্ত্রণালয়ে উত্থাপন করা হবে। এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, সৈয়দ মাছ-উদ রুমী সেতু পারাপারে "পায়ে চালিত কোন বাহনের টোল দেওয়া হবেনা প্রয়োজনে আমি দাঁড়িয়ে থাকবো"। 


জানা যায়, ২০০৪ সালে ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়াই নদীর উপর  কুষ্টিয়ার সাথে সংযোগ রক্ষাকারী সৈয়দ মাছ-উদ রুমী সেতু নামে পাঁচশত মিটার দৈর্ঘ্যর সেতু  নির্মাণ করা হয়। সড়ক ও জনপদ বিভাগ  ২০০৫ সাল থেকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের এই সেতু ইজারা দেন। সেতু থেকে প্রায় শতকোটি টাকা আয় হলেও বন্ধ হয়নি টোল আদায়। প্রতিদিন শত শত  নিম্ন আয়ের  দিনমজুরদের সাইকেলে সেতু পারাপারে দিতে হয় ১০ টাকা। এছাড়াও পায়ে চালিত  ভ্যান ও রিকশায় একই ভাবে টোল আদায় করা হয়। দীর্ঘদিন যাবত এলাকার মানুষ টোল বন্ধের চেষ্টা করেও কোন লাভ হয়নি।