মিয়ানমারের ৩৩০ নাগরিককে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:২১ পূর্বাহ্ন, ১৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪
পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদসহ ৩৩০ জন নাগরিককে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাদের হস্তান্তরের জন্য কক্সবাজারের ইনানী সৈকতে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘুমধুম সীমান্তে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী এবং মিয়ানমারের সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে মিয়ানমারের পালিয়ে আসা ৩৩০ নাগরিককে ভোর ৫টা থেকে ১২টি বাসে করে উখিয়ার ইনানী উপকূলের নৌবাহিনীর জেটি ঘাট এলাকায় আনা হয়। এসব নাগরিকদের বেশিরভাগই মিয়ানমারের বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য। তাদের মধ্যে মিয়ানমারের বিজিপি, সেনা, ইমিগ্রেশন ও পুলিশের সদস্য রয়েছেন। মিয়ানমারের ৩৩০ নাগরিকই কক্সবাজারের টেকনাফের নীলা সরকার ও বান্দরবনের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ঘুমধুম সীমান্তে অবিস্ফোরিত ‘রকেট লঞ্চার’ আতংক
সেন্টমার্টিন টেকনাফ রুটের পর্যটকবাহী ২টি জাহাজে করে তাদের গভীর সমুদ্রে অবস্থান করা মিয়ানমারের জাহাজে নিয়ে যাওয়া হবে। এরইমধ্যে রোহিঙ্গাদের নিতে আসা জাহাজটি রাত একটার দিকে মিয়ানমার সিটু বন্দর থেকে বাংলাদেশের জলসীমায় এসেছে।
উল্লেখ্য, গেল কয়েক দিন ধরে রাখাইন সীমান্তে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী আর দেশটির বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সংঘাত চলছে। সংঘাত চলাকালে প্রায় দুই ব্যাটালিয়ানের অফিসার, সৈনিক, মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ এবং কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। প্রথমে তাদের বিমানে ফেরত পাঠাতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু এতে মিয়ানমার রাজি হয়নি। পরে সমুদ্রপথে তাদের ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
জেবি/এসবি