‘বিশ্ব ভোক্তা-অধিকার দিবস ২০২২ উদযাপিত’


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


‘বিশ্ব ভোক্তা-অধিকার দিবস ২০২২ উদযাপিত’

[ঢাকা, ১৫ মার্চ, ২০২২]- ‘ডিজিটাল আর্থিক ব্যবস্থায় ন্যায্যতা’ প্রতিপাদ্যের সাথে পালিত হলো বিশ্ব ভোক্তা-অধিকার দিবস ২০২২। দিবসটি উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য র‌্যালির আয়োজন করে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। র‌্যালি শেষে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একটি আলোচনা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। 


 

আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা; এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মো: জসিম উদ্দিন; কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর-এর মহাপরিচালক এ.এইচ.এম সফিকুজ্জামান। আলোচনা পর্বটির সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।  



আলোচ্য বিষয়ে, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি বলেন, স্বাধীনতার এই মাসে অসাধু ব্যবসায়িদের হাত থেকে ভোক্তাদের স্বাধীন করতে হবে। জনগণকে তার অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে তৎপর থাকতে হবে। নিজ অধিকার সম্পর্কে জানলে জনগণ সোচ্চার হয়ে উঠবে এবং এতে করে অধিদপ্তরের কাজ অনেকাংশেই সহজ হবে। প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ বা ডিজিটাল হয়রানি রোধে সকলকে সচেতন হতে হবে এবং নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।



শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, “বিশ্বের সকল ভোক্তার ৮টি অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। ভোক্তার সেই অধিকারগুলো সংরক্ষণ হলে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে।


   

এফবিসিসিআই সভাপতি মো: জসিম উদ্দিন বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দরে বিএসটিআই’র পরীক্ষার ফলাফল পেতে যেই সময় ব্যয় হয়, তার মধ্যেই বাজারে নানান বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়ে যায়। বাজারে পণ্যের সরবরাহ সচল রাখতে এই প্রক্রিয়া আরও দ্রæত সম্পন্ন করতে হবে। পাশাপাশি ডিজিটাল সেবা নিতে গিয়ে কোন ভোক্তা যেন প্রতারিত বা ভোগান্তির শিকার না হন, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।



কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, আসন্ন রমজানের মধ্যে বাজারে চাহিদা মোতাবেক সকল পণ্যের সরবরাহ এবং ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে। কোন অসাধু ব্যবসায়ি যেন ভোক্তাদের হয়রানি করতে না পারে, সেজন্য সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। ভোক্তাদের স্বার্থ-সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে অধিদপ্তরের জনবল কাঠামো বৃদ্ধি করা খুবই জরুরি। এই বিষয়টি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব গুরুত্ব সহকারে দেখবেন বলে আমি আশা করি।



স্বাগত বক্তব্যে, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর-এর মহাপরিচালক এ.এইচ.এম সফিকুজ্জামান বলেন, “দেশের সকল প্রান্তের ভোক্তাদের প্রতি আমার আহ্বান, আপনারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন এবং কোন প্রকার ভোগান্তির শিকার হলে দ্রæত আমাদের জানান। ভোক্তাদের সকল ভোগান্তি দূর করতে এবং অধিকার নিশ্চিত করতে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সর্বদা পাশে থাকবে। ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘিত হলে অধিদপ্তরের হটলাইন নম্বর ১৬১২১-এ অভিযোগ করতে পারবেন।


  

সভাপতির বক্তব্যে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়-এর সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, “ভোক্তা-অধিকার আইনের প্রয়োগ আরও জোরদার করতে হবে। আইনের আওতায় শুধুমাত্র প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করলেই হবে না, ভোক্তাদের সুরক্ষায় ফৌজদারি ও দেওয়ানী প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ডিজিটাল প্রতারণা রোধে এবং ভবিষ্যতে ভোক্তা অধিকার রক্ষায়, অধিদপ্তরের তরুণ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে আরও অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।



জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন একটি সরকারী সংস্থা। সংস্থাটি পণ্য ও পরিষেবা সংক্রান্ত ভোক্তাদের অভিযোগ গ্রহণ, অভিযোগ নিষ্পত্তি এবং ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে কাজ করে। ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯-এর অধীনে এর সকল কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। ঢাকায় প্রধান সদর দপ্তরসহ বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে দপ্তর রয়েছে সংস্থাটির।



জি আই/