ফুচকার উৎপত্তি যেভাবে


Janobani

জনবাণী ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩:১৩ অপরাহ্ন, ২৪শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪


ফুচকার উৎপত্তি যেভাবে
ফাইল ছবি

বাঙালি মেয়েদের প্রিয় খাবারের তালিকা করা হলে উপরের দিকেই থাকবে ফুচকা। টক আর ঝাল স্বাদের এই খাবার খেতে পছন্দ করেনা এমন মানুষ খুব কমই। ফুচকার জনপ্রিয়তা নিয়ে কোনো প্রকার সন্দেহ নেই। এই ফুচকার আরেকটি নাম হলো গোলগাপ্পা। এটি ভারতে প্রচলিত আছে। হিন্দি ভাষার মানুষেরা ফুচকাকে গোলগাপ্পা বলে সম্মোধন করে থাকেন। তবে যে কোনো নামেই ডাকা হোক না কেন, এর জনপ্রিয়তা রয়েছে সর্ব মহলে।


মশলাদার খাবার এই ফুচকা খাওয়ার ধরন সব এলাকায় একইরকম নয়। অঞ্চলভেদে এর তৈরির প্রক্রিয়ায় বিশেষ কিছু ভিন্নতা দেখা যায়। কোথাও পেঁয়াজ ছাড়া নিরামিষ উপকরণে ফুচকা তৈরি করা হয়। আবার কোথাও পেঁয়াজ দিয়ে ফুচকা তৈরি করার চল আছে। এছাড়া এর চাটনি তৈরির প্রক্রিয়াও অনেকরকমের হয়ে থাকে।


আরও পড়ুন: বাসায় তৈরি করুন বিশেষ রসপুলি


ফুচকার পানি সাধারণত পুদিনা পাতা, লেবু, তেঁতুল দিয়ে তৈরি করা হয়। এর ভেতরের পুর হিসাবে থাকে আলু সিদ্ধ। বিভিন্ন সুস্বাদু সব মসলা, ছোলা, মটর দিয়ে মাখানো হয় সেই আলু সিদ্ধ। সাধারণত এটিই ফুচকার পুর হিসেবে ব্যবহার হয় থাকে। অনেকে আবার মিষ্টি পানি দেওয়া ফুচকা বেশি পছন্দ করে থাকেন। অর্থাৎ, ফুচকার চাটনির সাথে অনেকক্ষেত্রে চিনিও মিশিয়ে দেওয়া হয়। ফুচকা তৈরির পর সেদ্ধ ডিম কুচি করে দেওয়া হয় বিভিন্ন জায়গায়। আবার যারা বাড়তি ঝাল খেতে পছন্দ করেন তারা অতিরিক্ত মরিচ কুচিও যোগ করে থাকেন।


ফুচকার উৎপত্তি কোথায় হয়েছিল এই নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে সবার মনে। ভারতীয় রন্ধন বিশেষজ্ঞ কুরুশ দালালের অভিমত, উত্তর ভারতেই প্রথম প্রচলন হয়েছিল জনপ্রিয় মুখরোচক এই খাবারের। রাজ কচুরি থেকে বিবর্তিত হয়ে এই খাবারের উৎপত্তি হয়েছে, এমনটাই বলেন এই রন্ধন বিশেষজ্ঞ।


আরও পড়ুন: সুস্বাদু মাছের ঝুরি কাবাব তৈরির রেসিপি


বিংশ শতাব্দিতে ভারতের মানুষ জীবিকার সন্ধানে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় যাতায়াত শুরু করেন। এর ফলে ধীরে ধীরে অন্যান্য এলাকায়ও ছড়িয়ে পড়ে এ খাবার। তবে ফুচকা সাধারণত সব জায়গাতে একই স্বাদের হয় না। প্রত্যেক এলাকার মানুষেরা তাদের নিজেদের পছন্দমতো একটি স্বাদ নির্বাচন করে সেভাবেই তৈরি করা শুরু করেন ফুচকা। আর এভাবেই সর্বত্র জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ফুচকা।


এমএল/