এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে এগিয়ে গ্রামীণ নারীরা


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:৩৪ অপরাহ্ন, ২৫শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪


এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে এগিয়ে গ্রামীণ নারীরা
ছবি: সংগৃহীত

এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সহজেই ব্যাংকে টাকা জমা রাখা যাচ্ছে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স খুব দ্রুত পৌঁচ্ছে যাচ্ছে সুবিধাভোগীদের নিকট। কোন রকম অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই হাতের নাগালে ব্যাংকিং সুবিধা পাচ্ছে গ্রাহকরা। গত এক বছরে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে গ্রামীণ নারীদের হিসাব বেড়েছে ২৬ শতাংশ।  


 ব্যাংকিং ব্যবস্থার পরিধি আরও সহজ ও বিস্তৃত করার লক্ষ্যে দেশে ২০১৪ সালে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের উদ্ভাবন ঘটে। দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের নিকট সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং ও আর্থিক সেবা প্রদানই এই ব্যাংকিংয়ের প্রধান উদ্দেশ্য। এর ফলে ব্যাংকের অতিরিক্ত শাখা তৈরি, অবকাঠামো ব্যয়সহ নানা খরচ কমবে। দেশজুড়ে বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাংকিং সহজলভ্যতা।   


সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের হিসাব সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ১৪ লাখ ১৮ হাজার ৮১৬টি। ২০২২ সালের ডিসেম্বর শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের হিসাব ছিল ১ কোটি ৭৪ লাখ ৭৮ হাজার ৮৮৪টি।   


আরও পড়ুন: ২৪ দিনে দেশে প্রবাসী আয় এলো ১৮ হাজার কোটি টাকা


এক বছরের ব্যবধানে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের হিসাব বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৯ লাখ ৩৯ হাজার ৯৩২টি বা ২২ দশমিক ৫৪ শতাংশ। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে নারীদের হিসাব সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৬ লাখ ১৮ হাজার ২৫৮টি। গ্রামীণ নারীদের হিসাব সংখ্যা ৯৪ লাখ ৭৯ হাজার ১৭টি।  


অর্থনীতিবিদরা জানান, এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের শুরু থেকেই গ্রামীণ মানুষের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে আসছে। ব্যাংকিং সুবিধাঞ্চিত এলাকায় তারা ব্যাংকিং সেবা পৌঁচ্ছে দিচ্ছে। এতে গ্রামীণ জনগোষ্ঠি মূলধারার অর্থনীতিতে যুক্ত হচ্ছে। এর ফলে গ্রামীণ এলাকার নারীরা অর্থনীতিতে অশংগ্রহণ ব্যাপকহাওে বৃদ্ধি পাচ্ছে।  


আরও পড়ুন: অগ্রণী ব্যাংকে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড পেমেন্ট এন্ড ফাইন্যান্সিং বিষয়ক কর্মশালা


২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আমানত জমা পড়েছে ৩৫ হাজার ৯০২ কোটি টাকা। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে আমানতের পরিমাণ ছিল ২৯ কোটি ৬৮৭ হাজার কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আমানত বেড়েছে ৬ হাজার ২১৫ কোটি বা ২০ দশমিক ৯৩ শতাংশ। একই সাথে শহরের মানুষের তুলনায় গ্রামের মানুষের আমানত আরও অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। 


২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে এজেন্টের দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৭৫৭টি। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আউটলেট সংখ্যা ২১ হাজার ৬০২টি। ২০২২ সালের ডিসেম্বর শেষে এজেন্ট ছিল ১৫ হাজার ২২৬টি এবং এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আউটলেট সংখ্যা ২০ হাজার ৮৩৬টি। এক বছরের ব্যবধানে এজেন্টের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৩১টি এবং আউটলেট বৃদ্ধি পেয়েছে ৭৬৫টি। 


এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে খুব সহজে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারছেন প্রবাসীরা। প্রবাসীরা তার পরিবারের হাতে দ্রুত রেমিট্যান্স পাঠাতে পারছে। যার ফলে প্রান্তিক মানুষের নিকট রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।


জেবি/এসবি