শ্রীনগরে সরিষা মাড়াই-ঝাড়াই কাজে ব্যস্ত কৃষাণ কৃষাণী


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:৫১ অপরাহ্ন, ২৭শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪


শ্রীনগরে সরিষা মাড়াই-ঝাড়াই কাজে ব্যস্ত কৃষাণ কৃষাণী
ছবি: জনবাণী

শ্রীনগরে সরিষা ঘরে তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন স্থানীয় কৃষক পরিবার। এরই মধ্যে আড়িয়ল বিল, পদ্মার চরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ক্ষেতের সরিষা কাটা প্রায় শেষের দিকে। এখন চলছে সরিষা মাড়াই ও ঝাড়াই কাজের ব্যস্ততা। 


বছরের প্রথম দিকে ঝূর্ণিঝড় ও টানা বৃষ্টির প্রভাবে প্রায় সাড়ে ৪০০ বিঘা সরিষার ক্ষেত আক্রান্ত হয়। এতে সরিষার কাঙ্খিত ফলন কম হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা। আড়িয়ল বিল এলাকার বাড়ৈখালী, মদনখালী, শ্রীধরপুর, আলমপুর, লস্করপুর, ষোলঘর, খৈয়াগাঁও ও বীরতারা এলাকায় আক্রান্ত ক্ষেতে সরিষার আশানুরূপ ফলন হয়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের সরিষার চাষ করা হয়েছে।


আরও পড়ুন: শ্রীনগরে আগাম ধানের চারা রোপণ শুরু



স্থানীয়ভাবে ঝাড়া-শুকনা কালো মাঘি সরিষার দানার মণ কেনাবেচা হচ্ছে ৩ হাজার টাকা। এছাড়া প্রকার ভেদে সাদা দানাদার শ্বেতি সরিষার মণ ২৬০০-২৮০০ টাকা ও দেশীজাতের কালো দানাদার রাই/চৈতা সরিষার মণ বিকিকিনি হচ্ছে ৩৮০০-৪০০০ টাকা। 


সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, এই অঞ্চলে বেশীর ভাগ জমিতেই হাইব্রিড বারি- ১৪, ১৭, ১৯ জাতের সরিষা চাষ করা হয়েছে। দেখা গেছে, সরিষা কাটার পর মাঠে কিংবা বাড়ির আঙ্গিণায় কৃষক পরিবারের সদস্যরা মাড়াই ও ঝাড়াই শেষে রোদে শুকাচ্ছেন। গৃহস্ত পরিবারগুলো স্থানীয় ঘানি মিলগুলোতে নতুন সরিষা ভাঙ্গাতে ভিড় করছেন। 


বাড়ৈখালী বাজার এলাকার মো. আনোয়ার হোসেন নামে একজন বলেন, কালো মাঘি সরিষার মণ ৩০০০ টাকা। ঘানিতে এক মণ সরিষা ভাঙ্গিয়ে প্রায় ১৫ লিটার ভোজ্যতেল পাওয়া যাচ্ছে। 


শ্রীধরপুর গ্রামের কৃষক মনোরঞ্জন মন্ডলের স্ত্রী কৌশলা রানী মন্ডল বলেন, তার স্বামী খোলাবাজার থেকে বীজ ক্রয় করে প্রায় এক বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেন। প্রায় ৫ মণ সরিষার দানা উৎপাদণ হবে। এতে সংসারের প্রয়োজনীয় ভোজ্যতেলের চাহিদা মিটবে। সরকারিভাবে কোন সরিষার বীজ পাননি তারা।


আরও পড়ুন: শ্রীনগরে সরিষা চাষে স্বপ্ন বুনছে কৃষক 


ভাগ্যকুল এলাকার মো. কাউসার খান বলেন, পদ্মার চরে প্রায় ২০ বিঘায় সরিষার আবাদ করেছি। সরিষার ফলন ভালোই হয়েছে। কম খরচে অধিক লাভজনক সরিষা চাষের দিকে ঝুকছেন চরের কৃষকরা। 


শ্রীনগর উপজেলা কৃষি অফিসার মোহসিনা জাহান তোরণ জানান, এবার সরিষা আবাদের জন্য প্রণোদনার আওতায় ১৬০০ কৃষককে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে।


আরএক্স/