শ্রীনগরে সরিষা চাষে স্বপ্ন বুনছে কৃষক


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:২৪ অপরাহ্ন, ৮ই জানুয়ারী ২০২৪


শ্রীনগরে সরিষা চাষে স্বপ্ন বুনছে কৃষক
ছবি: জনবাণী

শ্রীনগরে সবুজের বুক চিরে সরিষা ফুলের সমারোহ জৌলুস ছড়াচ্ছে। নজরকারা হলুদের সমারোহ দৃষ্টি কেড়ে নিচ্ছে আপন মনে। মৌ-মৌ ঘ্রাণে মধু আহরণে মৌ-মাছির দল খেলা করছে হলুদ স্বপ্ন-পুরীতে। পৌষের শিশির ভেজা একেক খন্দ সবুজ মাঠ যেন হলুদের চাদরে ঢাকা পড়েছে। 


দৃষ্টিনন্দন প্রকৃতির এমন সৌন্দর্য উপভোগে পথচারীদের মন আনন্দের দোলায় ঢেউ খেলছে হলুদের স্বপুরীতে। মনের আনন্দে নানা শ্রেণি পেশার মানুষ হলুদের রাজ্যে ডোবে এ অপরূপ সৌন্দর্যের মাঝে ক্ষনিকের জন্য হারিয়ে যাচ্ছে। আনন্দ-উৎসব করে মোবাইল ফোনে সেলফি ও ছবি তুলে নিজেদের ক্যামেরা বন্দি করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব প্রকৃতির সৌন্দর্য পোষ্ট করে প্রকাশ করছেন নিজের অনুভুতির কথা। 


আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের বিজয়ে শেখ হাসিনাকে চীনের অভিনন্দন


সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, শ্রীনগর উপজেলার আড়িয়াল বিল এলাকার শ্রীধরপুর, বাড়ৈখালী, মদনখালী,আলামপুর ও উপজেলার ষোলঘরের খৈয়াগাঁও, পুর্ব-দেউলভোগ চক, বীরতারা, ছয়গাঁও, সাতগাঁও এবং ভাগ্যকুল এলাকার পদ্মা নদীর তীরবর্তী চরের জমিতে সরিষার চাষার আবাদ করা হয়েছে। 


প্রায় জমিতেই সরিষা গাছের সবুজের ছাঁয়া ঢাকা পরছে হলুদ ফুলের আবরণে। তবে সরিষার বীজ বপণের পরপরই ঝূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে সরিষার জমি আক্রান্ত হয়। এতে অনেকাংশে জমিতে সরিষার আশানুরূপ ফলন পাওয়া যাবেনা।


উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ৪৬৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ শুরু করা হয়। আবাদকৃত প্রায় জমিই ঝূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত হয়েছে। এতে সরিষার আশানুরূপ ফলন পাওয়ার সম্ভবনা নেই। ষোলঘরের খৈয়াগাঁও চকে বিস্তর জমিতে সরিষার ফুল ফুটেছে। 


শীতকালীন বিকেল বেলা হলুদের নান্দনিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে স্থানীয়রা আসছেন। বন্ধু-বান্ধব নিয়ে বেড়াতে এসে গ্রাম্য পরিবেশে খানিকটা সরিষার জমিতে হলুদ ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন তারা। 


আরও পড়ুন:  টানা চতুর্থ বার নৌকার জয় 


লক্ষ্য করা গেছে, বাড়ৈখালী ও শ্রীধরপুরে বেশকিছু জমিতে দেশী জাতের রাই/চৈতা সরিষার চাষ করছেন স্থানীয়রা। প্রতি বছর এ অঞ্চলে সরিষার ফুলের মধু সংগ্রহের জন্য মৌ-মাছির দল নিয়ে মৌয়ালদের আগম হলেও এবার কোথাও মৌয়ালদের উপস্থিতি চোখে পড়েনি। 


জাতীয় ফসল উৎপাদণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে (তেল জাতীয়) প্রকল্প বাস্তবায়নের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় উচ্চ ফলনশীল বারি-১৪, ১৭, ৯ ও বিএডিসি-১ জাতের সরিষা চাষের জন্য স্থানীয়দের বিনামূল্যে উন্নতজাতের সরিষা বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। 


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহসিনা জাহান তোরণ জানান, সরিষার প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ১৬শ’ কৃষককে এই সুবিধা দেওয়া হয়েছে।


আরএক্স/