রাজবাড়ীতে কুল চাষে ভালো ফলন হওয়ায় লাভের স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪:২৮ অপরাহ্ন, ২৭শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪
রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন এলাকায় বাউ কুল চাষে ভালো ফলন হওয়ায় লাভের স্বপ্ন দেখছেন দেখছেন চাষিরা। তবে বিচ্ছিন্ন ভাবে বিভিন্ন এলাকায় ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে ওঠা কিছু কুল বাগান দেখা যায়। বাগানের চারদিকে তাকালে শুধু কুল আর কুল।
চার থেকে ছয় ফুট উচ্চতার এই গাছ, ছোট থেকে বড় প্রতিটি গাছে কুলের ভারে ডাল নুইয়ে পড়েছে। লাল আপেলের রংয়ে আপেল কুল ও সাদা সবুজ মিশ্রিত বাউ কুল সহ নানা জাতের পরিপক্ব বড়ইগুলো স্বাদে হাল্কা টক মিষ্টিতে স্বাদে ভরপুর। রাজবাড়ী জেলা সদর, গোয়ালন্দ, বালিয়াকান্দি, পাংশা ও কালুখালি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বড়ই বাগানের তথ্য পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: শ্রীনগরে টমেটো চাষে লাভবান কৃষক
সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, রাজবাড়ী সদর উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের আহাম্মদ আলীর ছেলে ইদ্রিস মেম্বর ৪৫ শতক জমিতে একটি কুল বাগান করেছেন। পরিপক্ক কুল সংগ্রহ কালে কথা হয় তার বড় ভাই সিদ্দিক খানের সাথে। তারা জানান, অন্যান্য ফল চাষের তুলনায় কুল চাষও ভাল লাভজনক। এই বাগানে প্রতি শতাংশে একটি করে বড়ই গাছ রোপন করা হয়েছে। রোপনের পর প্রতিটি গাছে প্রায় এক বছর পর পরিপক্ক কুলবড়ই পাওয়া যায়। তিন বছর যাবত তারা ওই বাগান করেছেন। প্রতিটি চারা ক্রয় থেকে শুরু করে সেচ, সার, কীটনাশক স্পে, নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরী ও শ্রমিক ব্যয় সহ পরিপক্ক বড়ই পাওয়া পর্যন্ত প্রতিটি কুল গাছে গড়ে ১ হাজার ৫শত টাকা খরচ হয়েছে। তবে রোপনের প্রথম বছর এ খরচ লাগলেও পরের বছর থেকে খরচ কম লাগে। পরে শুধু পরিচর্যা খরচ লাগে। প্রতি সিজনে গাছ প্রতি দেড় থেকে দুই মনের অধিক বড়ই পাওয়া যায়। প্রতিমন কুল তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায় বিক্রি হয়।
আরও পড়ুন: শ্রীনগরে আমের মুকুলে ঢাকা পড়ছে গাছ
প্রতি মৌসুমে বড়ই সংগ্রহ শেষে গাছের ডালপালা কেটে দিতে হয়। কাটা ডালপালা জ্বালানির চাহিদা মিটায়। এরপর গাছের গোড়ার চারদিকে কিছুটা মাটি হাল্কা খুঁচিয়ে গোবরের সার দিয়ে সেচ দিতে হয়। অগ্রহায়ণ - পৌষ মাসে আবার ফুল ও আসে। এরপর মাস দেড়েক পরে পরিপক্ক কুল বাজারে বিক্রি করা যায়।
কুল চাষে উৎসাহিত করে গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খোকন উজ্জামান জানান , অন্যান্য ফলের তুলনায় কুল চাষ লাভজনক। বিভিন্ন এলাকায় কুল চাষ করে অনেকে লাভবান হচ্ছেন। তবে গোয়ালন্দে এখনও বানিজ্যিক ভাবে কুল চাষ হচ্ছে না। কেউ বানিজ্যিক ভাবে করতে চাইলে অবশ্যই সার্বিক সহায়তা করা হবে।
আরএক্স/