প্রাণ বাঁচাতে কাচ্চি ভাইয়ের স্টোর রুমে আশ্রয়, সেখানেই মিলেছে বেশি মরদেহ


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:০৮ পূর্বাহ্ন, ৩রা মার্চ ২০২৪


প্রাণ বাঁচাতে কাচ্চি ভাইয়ের স্টোর রুমে আশ্রয়, সেখানেই মিলেছে বেশি মরদেহ
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নারী-শিশুসহ মোট ৪৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। 


ফায়ার সার্ভিস বলছে, বেইলি রোডে আগুন নিয়ন্ত্রণের পর বেশিরভাগ মরদেহ ভবনের দ্বিতীয় তলার ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টের একটি স্টোর রুম থেকে উদ্ধার করা হয়।


দেখে বোঝা যাচ্ছে যে, তারা নিজেদের জীবন বাঁচানোর জন্য ওই স্টোর রুমে আশ্রয় নিয়েছিল। পরে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়।


শনিবার (২ মার্চ) ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা শাজাহান সিকদার এসব কথা বলেন।


আরও পড়ুন: বেইলি রোডসহ আবাসিক স্থাপনায় রেস্টুরেন্ট বন্ধ চেয়ে রিট


শাজাহান সিকদার  আরও বলেন, “একে একে ১৩ ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণের পরে ভবনের ভেতরে প্রবেশ করা হয়। ভবনের দ্বিতীয় তলায় কাচ্চি ভাইয়ের রেস্টুরেন্টের ভেতরে একটি স্টোর রুম ছিল। যেখানে হোটেলের কিছু মালামাল রাখা হতো। সে স্টোর রুম থেকে বেশিরভাগ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মনে হচ্ছে মানুষগুলো আগুন থেকে বাঁচার জন্য ওই স্টোর রুমে প্রবেশ করেছিল। আগুনে সে স্টোর রুমের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। স্টোর রুম থেকে উদ্ধার করা সব নিথর দেহে কোনও দগ্ধ ছিল না।”


আরও পড়ুন: বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় মো‌দির শোক


তিনি আরও বলেন, “বেইলি রোডে ওই ভবনটি বেজমেন্টসহ ৮তলা। পুরোটাই কমার্শিয়াল। এর ছাদে একটি অফিস ও মসজিদ ছিল। আগুন লাগার পরপরই অনেকে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামতে না পারায় ছাদে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। তাদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। এছাড়া ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় সিঁড়ির থেকে বেশ কয়েকজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। মনে হয় সে মানুষগুলো নামতে গিয়ে মারা যায়। দু’জনের পোড়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে সিঁড়িতে থেকেই।”


এর আগে বৃহস্পতিবার ( ২৯ ফেব্রুয়ারি)  রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডে ওই ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেখানে ১৩ ইউনিট কাজ করে রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস।


জেবি/এসবি