বেইলি রোডের আগুন
পাশাপাশি চির নিদ্রায় শায়িত হলেন শুল্ক কর্মকর্তা ও স্ত্রী-সন্তান
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪:২২ অপরাহ্ন, ৩রা মার্চ ২০২৪
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার মরিচ্যা কবরস্থানে চির শায়িত করা হয়েছে রাজধানীর বেইলি রোডের আগুনের ঘটনায় নিহত শাহ জালাল উদ্দিন, স্ত্রী মেহেরুন নিসা ও ৪ বছরের কন্যা ফাইরুজ কাশেম জামিরা।
রবিবার (৩ মার্চ) বেলা ১১ টায় মরিচ্যা মুক্তিযোদ্ধা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় নামাযে জানাযা শেষে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। যেখানে শোকার্ত মানুষের ঢল নামে।
আরও পড়ুন: বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ড: নিহত যাদের পরিচয় মিলেছে
জানাজা পূর্বে তাঁদের আলোকিত জীবন নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন, নিহত শাহ জালালের পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি, উখিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাজাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, ঝিলংজা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েসসহ স্থানীয় আওয়ামী ও পরিবারের সদস্যরা।
এর আগে সকাল থেকে দূর-দূরান্ত থেকে তাঁদের এক নজরে দেখতে ছুটে আসেন হাজারো মানুষ। মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স ঘিরে চলে স্বজনদের আহাজারি।
এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শাহজালালের স্ত্রী মেহেরুন নিসার রামুর গ্রামের বাড়ি ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নে পৌঁছায় তাদের মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স। তাদের মরদেহ কক্সবাজার পৌঁছার পর সৃষ্টি হয় হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি। ওই রাত সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠিত হয় প্রথম জানাজা। এরপর মরদেহ নেওয়া হয় শাহজালালের গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারের হলদিয়াপালংয়ে।
আরও পড়ুন: আগুনে নিহতদের দাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে দেবে সরকার
কাস্টমস ইন্সপেক্টর শাহ জালাল উদ্দিন নারায়নগঞ্জ জেলার পানগাঁও কাস্টমস অফিসে কর্মরত ছিলেন। টানা ৩ দিনের ছুটি পাওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে খাগড়াছড়ি ভ্রমনে কথা ছিল। কিন্তু বেইলি রোডের অগ্নিকান্ডের ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে গিয়ে ৩ জনের মরদেহ শনাক্ত করা হয়।
আরএক্স/