ভেড়ামারায় আগুনে পুড়লো ৪ হাজার বিঘা পানের বরজ

মাধ্যমে টানা ৭ ঘন্টা চেষ্টায় অবশেষে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিজ্ঞাপন
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়েছে প্রায় চার হাজার বিঘার পান বরজ। আগুন নিয়ন্ত্রণহীন ছিল প্রায় সাত ঘন্টা। ভেড়ামারা ছাড়াও মিরপুর, কুমারখালি, কুষ্টিয়া ঈশ্বরদী, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গাসহ ফায়ার সার্ভিসের ১২ টি টিম নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে টানা ৭ ঘন্টা চেষ্টায় অবশেষে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
রবিবার (১০ মার্চ) বেলা ১১ টার সময় আগুনের সূত্রপাত ঘটে। প্রথমে ভেড়ামারার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রায়টা গ্রামের জিআরপি ক্যাম্পের নিচে পানের বরজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে,আগুনে প্রায় ১২ কিলোমিটার পানের বরজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। প্রথম অবস্থায় আগুন কোনমতেই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছিল না। আগুনের লেলিহান শিখা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল। গ্রামের মানুষ অসহায় অস্থির হয়ে চারিদিকে হারিয়ে ছোটাছুটি করছে। বেশ কয়েকটি বাড়িতেও আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।আশেপাশের অঞ্চল থেকে লেপ, কাঁথা, কম্বল,খাদ্যশস্য গবাদি পশুর সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে সরিয়ে দিচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে আরও জানা যায় যখন আগুন কোনোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না তখন কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঈশ্বরদী থেকে ফায়ার সার্ভিস টিম আসে। আগুনের লেলিহান শিখা আশেপাশের ১২ কিলোমিটার এলাকাব্যাপি ছড়িয়ে পড়েছে।
বিজ্ঞাপন
রায়টা, আরকান্দি, মাধবপুর, গোসাই পাড়া, মালিপাড়া, মেঘনাপাড়ার ছয়টি গ্রাম আগুনে আক্রান্ত হয়েছে । আগুন আতঙ্কে তারা দিশেহারা হয়ে পড়ে। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। তবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সেটা ১০০ কোটিরও বেশি। সহায় সম্বল হারিয়ে তারা এখন দিশেহারা।
বিজ্ঞাপন
চুয়াডাঙ্গার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক রফিকুজ্জামান বলেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমরা ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট এখানে কাজ করি। এলাকাবাসী সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, আগুনে প্রায় ৪ হাজার বিঘার পান বরজ পুড়ে গেছে।প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আমরা নিরূপণ করতে পারি নাই।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় এমপি কামারুল আরিফিন বলেন ,ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায়১০০ কোটির উপরে। এখন পর্যন্ত আগুন যেভাবে জ্বলছে এটা নিয়ন্ত্রণে না আসলে ২০ টি গ্রাম আক্রান্ত হতে পারে। যা আমাদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। এখন আমরা আল্লাহর উপরে ভরসা করছি।
আরএক্স/








