রমজানের প্রথম ১০ দিন যে দোয়া বেশি বেশি পড়বেন


Janobani

জনবাণী ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮:২৮ অপরাহ্ন, ১৩ই মার্চ ২০২৪


রমজানের প্রথম ১০ দিন যে দোয়া বেশি বেশি পড়বেন
ছবি: প্রতিকী

মাহে রমজানের বিশেষ একটি বৈশিষ্ট্য হলো এ মাসের তিনটি ভাগ রয়েছে। রমজানের প্রত্যেক দশকেই আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের জন্য নিজের অনুগ্রহ নাজিল করেন। এ বিষয়ে হজরত সালমান ফারসি রা. থেকে বর্ণিত হয়েছে


তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) শাবান মাসের শেষ দিন আমাদের মাঝে খতিব হিসেবে দাঁড়ালেন, এবং বললেন (মাহে রমজান) এমন একটি মাস যার প্রথম ভাগ রহমত, মধ্যবর্তী ভাগ মাগফেরাত বা ক্ষমা আর শেষ ভাগে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয়া হয়। অর্থাৎ পবিত্র রমজান মাসের ৩০ দিনের প্রথম ১০ দিন রহমতের, দ্বিতীয় ১০ দিন মাগফিরাতের ও তৃতীয় ১০ দিন নাজাতের। (সহিহ ইবনে খুজাইমা, ১৮৮৭)


আরও পড়ুন: ইফতারের আগে যে তিন ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়


এ মাসে মুমিনকে যেসব বিষয়ের জন্য সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে তারমধ্যে অন্যতম একটি হলো দোয়া কবুল। মহানবী (সাঃ) বলেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। যেমন, ন্যায়পরায়ণ বাদশা, রোজা পালনকারী—যতক্ষণ না সে ইফতার করে এবং মজলুম।’ (তিরমিজি, হাদিস, ৩৫৯৮)


দোয়াকে ইবাদতের মূল হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এ কারণেই দোয়া ছাড়া ইবাদত অসম্পূর্ণ থাকে। আর বিশেষ সময়গুলোতে আল্লাহর কাছে উপযুক্ত দোয়াগুলো পড়া সুন্নত। 


মাহে রমজানের প্রথম ১০ দিন যেহেতু রহমত নাজিল হয়, তাই এ সময় আল্লাহর কাছে বেশি বেশি রহমত আশা করে দোয়া করা যেতে পারে।


আরও পড়ুন: ফজরের পর যে আমল করবেন  


এ বিষয়ে কুরআনে কারীমে বর্ণিত এই দোয়াটি পড়া যেতে পারে। দোয়াটি হলো- 


وَقُل رَّبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ 


উচ্চারণ: ওয়া কুর রব্বিগফির ওয়ার হাম ওয়া আনতা খইরুর র-হিমীন। 


অর্থ: ‘আর বলুন, হে আমার রব! ক্ষমা করুন ও দয়া করুন, আর আপনিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু। (সূরা মুমিনুন, আয়াত, ১১৮)

এমনকি এই দোয়াটি ও পড়া যেতে পারে— 


رَبَّنَاۤ اٰتِنَا مِنۡ لَّدُنۡکَ رَحۡمَۃً وَّ هَیِّیٴۡ لَنَا مِنۡ اَمۡرِنَا رَشَدًا 


উচ্চারণ: রব্বানা আ-তিনা মিল্লাদুনকা রহমাহ, ওয়াহায়্যি’লানা মিন আমরিনা রশাদা। 


অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক, আপনি আপনার পক্ষ থেকে আমাদের অনুগ্রহ দান করুন এবং আমাদের জন্য আমাদের কাজকর্ম সঠিকভাবে পরিচালনার ব্যবস্থা করুন।’ (সূরা কাহাফ, আয়াত, ১০)


এমএল/