গোয়াইনঘাটে বাঁশের সাঁকো দিয়ে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮:৩৩ অপরাহ্ন, ১৬ই মার্চ ২০২৪
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় একটি ব্রিজ বা কালভার্টের অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন পারাপার করছে মক্তব, মাদ্রাসা ও স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ এলাকার জনসাধারণ। উপজেলার ডৌবাড়ী ইউনিয়নের ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের মধ্যবর্তী স্থানের কান্দিগ্রাম হাকুর খালের উপর নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ এই বাঁশের সাঁকোটি এলাকাবাসীর পারাপারের একমাত্র সম্বল।
কোমলমতি শিক্ষার্থী ও সাধারণের মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি ও ঝুঁকি দূরীকরণে বাঁশের সাঁকোর জায়গায় ব্রিজ বা কালভার্ট নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তারা জানান, উপজেলার লামাদুমকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাকুর বাজার মাদ্রাসা ও স্কুল, মনসুর মহসিন ডৌবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় এবং সকালের মক্তব পড়ুয়া বড় একটি অংশ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে।
আরও পড়ুন: সিলেটে মিললো জ্বালানি তেলের খনি
এছাড়া জরুরি চিকিৎসাসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে উপজেলা সদরসহ পাশ্ববর্তী কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিক সেবা গ্রহণের জন্য একমাত্র ভরসা এই বাঁশের সাঁকো। যার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বহনে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ মানুষদের। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বারবার অবহিত করা হলেও আজ পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৪.২ মাত্রার ভূমিকম্প
এ ব্যাপারে সমাজসেবক মাওলানা দেলওয়ার হোসেন বলেন, সাঁকোটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার পরও অভিভাবকরা বাধ্য হয়ে ছেলে-মেয়েদের এই বাঁশের সাঁকো পার করে স্কুল, মাদ্রাসা ও মসজিদে সকালের মক্তবে পাঠান। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জানায়, ঝুঁকিপূর্ণ এই বাঁশের সাঁকো পার হতে তাদের অনেক কষ্ট হয়। অনেক শিক্ষার্থী সাঁকো থেকে পা পিছলে খালে পড়ে বই-খাতা নষ্ট ও আহত হওয়ার পরও ব্রিজ কিংবা কালভার্ট নির্মাণের কোন ব্যবস্থা হয়নি।
বিষয়টির ব্যাপারে ডৌবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. নিজাম উদ্দিন জানান, কোমলমতি শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর চলাচলের সুবিধার্থে জরাজীর্ণ এই বাঁশের সাঁকোটির পরিবর্তে একটা কালভার্ট বা ব্রিজ নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। খুব শিগ্রই এখানে ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।
জেবি/এসবি