সুন্দরবনে গাছের সংখ্যা জানতে জরিপ শুরু, কতদিন লাগবে?


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:১৫ পূর্বাহ্ন, ২০শে মার্চ ২০২৪


সুন্দরবনে গাছের সংখ্যা জানতে জরিপ শুরু, কতদিন লাগবে?
ফাইল ছবি

বিশ্ব ঐতিহ্য ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ও এর সংখ্যা নির্ণয়ে জরিপ শুরু হয়েছে। 


বনবিভাগের তত্ত্বাবধানে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) থেকে শুরু হয় এই গাছ জরিপের কাজ। এ কাজ আগামী তিন মাসের মধ্যে শেষ করবে বনবিভাগ।


আরও পড়ুন: সুন্দরবনে পথ হারিয়ে ৯৯৯ এ ফোন, ৩১ কিশোরকে উদ্ধার করেছে পুলিশ


সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের ছয় হাজার ১৭ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই ম্যানগ্রোভ বনের চার হাজার ১৪২ দশমিক ছয় বর্গ কিলোমিটারের স্থলভাগে কত প্রজাতির ও কী পরিমাণ গাছপালা রয়েছে তা জানতে এই জরিপ চালানো হচ্ছে। 


বনবিভাগের তথ্য মতে, ১৯০৩ সালের গবেষণায় সুন্দরবনে সুন্দরী, গেওয়া, গরান, পশুর, কাঁকড়া, কেওড়া, ধুন্দল, বাইন, খলসি, আমুর, সিংড়াসহ ৩৩৪ প্রজাতির গাছপালা, ১৬৫ প্রজাতির শৈবাল ও ১৩ প্রজাতির অর্কিড ছিল। ১৯৮৫ সালের জরিপে সুন্দরবনে অরণ্য ও গুল্ম প্রজাতির সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৬৬ প্রজাতিতে। 


১৯৯৭ সালের জরিপে মাত্র ৪৮ প্রজাতির উদ্ভিদ ছিল। এরপর ২০১৪-১৫ সালের সর্বশেষ জরিপে গাছের প্রজাতির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৮৪টিতে। এর মধ্যে ৫৪ প্রজাতির গাছ, ২৮ প্রজাতির লতাপাতা, ১৩ প্রজাতির গাছড়া, ২২ প্রজাতির গুল্ম, ১৩ প্রজাতির ফার্ন, ১২ প্রজাতির অর্কিড, তিন প্রজাতির পরজীবী উদ্ভিদ, দুই প্রজাতির পাম, ২৮ প্রজাতির ঘাস ও ৯ প্রজাতির ছত্রাক উদ্ভিদের সন্ধান মেলে সুন্দরবনে।


বর্তমানে সুন্দরবনে উদ্ভিদের মধ্যে ৭০ শতাংশই হচ্ছে সুন্দরী, গেওয়া ও গরান। তবে বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় রয়েছে লাহুর, বনবকুল, মহাজনি লাতা ও দুই প্রজাতির অর্কিড।


আরও পড়ুন: সুন্দরবনে গোলপাতা আহরণ মৌসুম শুরু


সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম বলেন, বাংলাদেশের সমগ্র সুন্দরবনের স্থলভাগে কতো প্রজাতির ও কী পরিমাণ গাছপালা রয়েছে তা জানতে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে জরিপের কাজ। 


বনবিভাগের বন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আগামী তিন মাসের মধ্যে এই জরিপ কাজ শেষ করবে। তখনই জানা সম্ভব হবে এখন কত ও কোন কোন প্রজাতির কী পরিমাণ গাছপালা রয়েছে।


জেবি/এজে