এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী, একমত দলগুলো


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:২৬ অপরাহ্ন, ২৭শে জুলাই ২০২৫


এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী, একমত দলগুলো
ছবি: সংগৃহীত

এক ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর পদে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন—এমন একটি প্রস্তাবে একমত হয়েছে দেশের ৩০টি রাজনৈতিক দল। একইসঙ্গে পুলিশ বাহিনীর পেশাদারিত্ব ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ‘স্বাধীন পুলিশ কমিশন’ গঠনেও ঐকমত্যে পৌঁছেছে দলগুলো।


রবিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে চলমান দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১৯তম দিনে এই ঐক্যমত্য গঠিত হয়। সংলাপে অংশ নেয় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি, এনসিপিসহ মোট ৩০টি রাজনৈতিক দল। তবে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলীয় জোটকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।


সংলাপ শেষে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ বলেন, “আমরা একটি বিষয়ে একমত হয়েছি—এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সর্বোচ্চ ১০ বছর দায়িত্ব পালন করবেন। এই প্রস্তাবটি আমরা ঐকমত্য হিসেবে সনদে উল্লেখ করব।”


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এ বিষয়ে বলেন, “আমরা আগেই বলেছি, কোনো ব্যক্তি ১০ বছরের বেশি সময় প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। আমরা এ বিষয়টি প্রস্তাব করেছিলাম। এখন সেটা গৃহীত হওয়ায় আমরা স্বাগত জানাই। তবে আমরা চাই নির্বাচন কমিশনসহ সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি স্বাধীন কমিটি গঠন করতে হবে, তা না হলে আমাদের শর্ত বহাল থাকবে।”


আলোচনার শুরুতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন একটি ‘স্বাধীন পুলিশ কমিশন’ গঠনের প্রস্তাব উপস্থাপন করে, যা পরে দলগুলোর আলোচনার মাধ্যমে সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়।


ড. আলী রীয়াজ জানান, “বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনে একমত হয়েছে। এর মাধ্যমে পুলিশের পেশাদারিত্ব, জবাবদিহিতা ও দক্ষতা নিশ্চিত হবে।”


কমিশনে অন্তত দুইজন নারী সদস্য রাখতে হবে। এছাড়া সদস্যদের নিয়োগের জন্য একটি বাছাই কমিটি গঠনের প্রস্তাবও রাখা হয়েছে, যেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ও একজন হাইকোর্ট বিচারক থাকবেন।


কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য সচিব পূর্ণকালীন দায়িত্বে থাকবেন, অন্য সদস্যরা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করবেন। তবে নির্ধারিত সম্মানী বা ভাতা গ্রহণের সুযোগ থাকবে।


এই দুই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্যমত্য তৈরি হয়েছে, তা বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কারে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তবে এটি বাস্তবায়নের জন্য এখন অপেক্ষা সংবিধান সংশোধন ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরির দিকে।


আরএক্স/