সদরপুরে ঘূর্ণিঝড়ে শতাধিক ঘরবাড়ি ও গাছপালা বিধ্বস্ত


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮:০২ অপরাহ্ন, ৩১শে মার্চ ২০২৪


সদরপুরে ঘূর্ণিঝড়ে শতাধিক ঘরবাড়ি ও গাছপালা বিধ্বস্ত
ছবি: প্রতিনিধি

ফরিদপুরের সদরপুরে ঘূর্ণিঝড়ে তিনটি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রবিবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার কৃষ্ণপুর, বিষ্ণুপুর ও ভাষাণচর ইউনিয়নের ওপর দিয়ে এ ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়। এতে অনেক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে, গাছপালা কোথাও ভেঙ্গে গেছে, কোথাও উপড়ে গেছে। এ ছাড়াও ফসলের ব্যাপক ক্ষতিসহ বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে অনেক এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ এখনও নির্ণয় করা যায়নি। উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, তারা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করেছেন। তাদের ত্রাণ সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা নেয়া হবে। 


স্থানীয়রা জানান, ঝড়ের সাথে শিলাবৃষ্টিতে ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে অসংখ্য গাছপালা ভেঙে এবং উপড়ে পড়েছে। অনেক জায়গায় সড়কের ওপরে গাছ পড়ে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।


আরও পড়ুন: সোনারগাঁয়ে ৬টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্ধোধন  


কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের শৌলডুবী গ্রামের বাসিন্দা মিঠু ফকির বলেন, ঝড়ে কাঁচা-আধাপাকা ঘরবাড়ি, গাছপালা, পেঁয়াজ, রসুন, মসুর, ধনিয়া, ধান, গমসহ কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেছে।


কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. গাফফার শিকদার বলেন, ‘ঝড়ে প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সকাল থেকে এখানে বিদ্যুৎ নেই, রাস্তার ওপরে গাছ পড়ে এলাকার লোকজনের চলাচলে সমস্যা হয়েছে।


এ ব্যাপারে সদরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শফিকুর রহমান বলেন, ‘রবিবার (৩১ মার্চ) ফজরের নামাজের সময়ে ঘূর্ণিঝড়ে শতাধিক কাঁচা-পাকা বাড়িঘর ও গাছপালা উপড়ে যায়। বিস্তীর্ণ জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। অনেকেই ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে। ইতোমধ্যেই তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ শুর“ করা হয়েছে।


আরও পড়ুন: শ্রীনগরে আলু উত্তোলনে শ্রমিক সংকটে খরচ বাড়ছে কৃষকের


পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সদরপুর সাব জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ রয়েছে। লাইনের ওপরে গাছ পড়ে বিদ্যুৎতের তার ছিড়ে গেছে। বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে কাজ চলছে, অতিদ্রুত সংযোগ চালু করা হবে।


এ ব্যাপারে সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ মোরাদ আলী বলেন, ভোরে উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের উপর দিয়ে ঘুর্ণিঝড় বয়ে যায়। এতে চরবিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চাল উপড়ে যায়। কৃষ্ণপুর ইউনিয়নে ১৭টি ঘর বিধ্বস্ত হয় এবং ভাষাণচরে একটি বাড়ি বিধ্বস্ত হয় বলে খবর পাওয়া গেছে। আমরা ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের যথাসাধ্য সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।


এমএল/