২৩ ধরনের হার্টের রিংয়ের দাম কমলো


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:৩৩ অপরাহ্ন, ৩রা এপ্রিল ২০২৪


২৩ ধরনের হার্টের রিংয়ের দাম কমলো
প্রতীকী ছবি

ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে দেশের বাজারে হৃদরোগ চিকিৎসায় অতি গুরুত্বপূর্ণ স্টেন্টের (রিং) দাম বেড়েছিল। তবে এবার বাজারে বেড়ে যাওয়া মোট ২৩ ধরনের স্টেন্টের দাম কমিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। 


মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) অধিদফতরের পরিচালকের (প্রশাসন) সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।


আরও পড়ুন: ওষুধ ও হার্টের রিংয়ের দাম কমাতেই হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী


বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালকের সঙ্গে বাংলাদেশে ইউরোপীয় এবং অন্যান্য দেশের হার্টের রিং (স্টেন্ট) উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্টদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। যার মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির স্টেন্টের দাম কমানো হয়েছে।


সেখানে দেখা যায়, পোল্যান্ডের তৈরি অ্যালেক্স প্লাস ব্র্যান্ডের স্টেন্টের দাম ৮০ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৬০ হাজার টাকা, অ্যালেক্স ব্র্যান্ডের স্টেন্ট ৬২ হাজার ৯২২ টাকা থেকে কমিয়ে ৬০ হাজার টাকা, অ্যাবারিস ব্র্যান্ডের স্টেন্টের দাম ৬১ হাজার ৯২১ টাকা থেকে কমিয়ে ৬০ হাজার টাকা করা হয়েছে।


এছাড়া জার্মানির করোফ্ল্যাক্স আইএসএআর ব্র্যান্ডের স্টেন্টের দাম ৫৯ হাজার ১১৯ টাকা থেকে কমিয়ে ৫৩ হাজার টাকা, করোফ্ল্যাক্স আইএসএআর নিও ব্র্যান্ডের স্টেন্টের দাম ৭৩ হাজার ১২৬ টাকা থেকে কমিয়ে ৫৫ হাজার টাকা, জিলিমাস ব্র্যান্ডের স্টেন্টের দাম ৬০ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৫৮ হাজার টাকা করা হয়েছে।


ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সুইজারল্যান্ডের ওরসিরো ব্র্যান্ডের স্টেন্ট ৭৬ হাজার টাকার বদলে ৬৩ হাজার টাকায় এবং ওরসিরো মিশনের দাম ৮১ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৬৮ হাজার টাকায় বিক্রি করতে হবে।


দক্ষিণ কোরিয়ার তৈরি জেনোস ডেস ব্র্যান্ডের স্টেন্টের দাম ৬৫ হাজার ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৫৬ হাজার টাকা, স্পেনের ইভাসকুলার এনজিওলাইটের দাম ৮৭ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৬২ হাজার টাকা, জাপানের আল্টিমাস্টারের দাম ৮৩ হাজার ২০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৬৬ হাজার টাকা এবং নেদারল্যান্ডসের অ্যাবলুমিনাস ডেস প্লাসের স্টেন্টের দাম ৭১ হাজার ২০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৬৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।


ভারতে তৈরি স্টেন্টের দামও কমিয়েছে অধিদফতর। মেটাফোর ব্র্যান্ডের স্টেন্ট ৪৮ হাজার টাকা থেকে ৪০ হাজার, এভারমাইন ফিফটি ব্র্যান্ডের স্টেন্ট ৯৫ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৫০ হাজার, বায়োমাইম মর্ফ ৯৫ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৫০ হাজার, বায়োমাইমের স্টেন্ট ৬৫ হাজার ৫৯৫ টাকা থেকে কমিয়ে ৪৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।


যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাফিনিটি-এমএস মিনির দাম ৯১ হাজার টাকার বদলে ৬০ হাজার টাকা, ডিরেক্ট-স্টেন্ট সিরোর দাম ৯৬ হাজার ৭৩২ টাকার বদলে ৬৬ হাজার টাকা এবং ডিরেক্ট-স্টেন্টের দাম ৩৩ হাজার ৫৯২ টাকা থেকে কমিয়ে ৩০ হাজার টাকা করা হয়েছে।


সিঙ্গাপুরের তৈরি বায়োমেট্রিক্স নিওফ্ল্যাক্স রিং ৭৬ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৬০ হাজার টাকা, বায়োমেট্রিক্স আলফার দাম ৮৬ হাজার ৩৬ টাকা থেকে ৬৬ হাজার টাকা এবং বায়োফ্রিডমের দাম ১ লাখ ২১ হাজার ৬০০ টাকা থেকে কমে ৬৮ হাজার করা হয়েছে।


আরও পড়ুন: ডায়রিয়া হলে কী খাবেন, কী খাবেন না


এর আগে গত বছরের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি কোম্পানির তিন ধরনের স্টেন্টের দাম কমায় অধিদফতর। তখন ‘রেজোলিউট ইন্টেগ্রিটি’ ধরনের স্টেন্টের ভিত্তিমূল্য ৮৮০ থেকে কমিয়ে ৫০০ ডলার, রেজোলিউট ওনিক্সের দাম ১ হাজার ১৫০ থেকে কমিয়ে ৯০০ ডলার এবং অনিক্স ট্রকারের দাম নির্ধারণ করা হয় ৪৫০ ডলার।


এরপর গত ১২ ডিসেম্বর অধিদফতর আরও কয়েক ধরনের স্টেন্টের দাম নির্ধারণ করে দেয়। যা কার্যকর হয় গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে। নতুন তালিকায় সর্বনিম্ন ১৪ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৪০ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত দামের স্টেন্টও রয়েছে। এতে প্রকারভেদে স্টেন্টের দাম সর্বোচ্চ ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে আসে।


জেবি/এজে