রায়পুরে ভবন নির্মাণে অনিয়ম, আইন প্রয়োগে মেয়রকে অপবাদ
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭:৪১ অপরাহ্ন, ৩রা এপ্রিল ২০২৪
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে পৌর শহরে নিয়ম না মেনে একতা টাওয়ার নামে ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পৌরসভার অনুমোদিত প্লান অনুযায়ী নির্মাণ কাজ না করে নিজের ইচ্ছেমতো কাজ করছেন ভবনের মালিক মঞ্জুরুল আলম। তিনি অনেক ক্ষেত্রে নিয়মের কোনো তোয়াক্কা না করে এ ভবন নির্মান করছেন বলে অভিযোগ করেছে পৌর কতৃপক্ষ।
অভিযোগ উঠেছে পৌরসভার অনুমোদিত প্লান অনুযায়ী একতা টাওয়ার নির্মাণে পুরোপুরি নিয়ম মানেনি কর্তৃপক্ষ। ভবনের মালিক মঞ্জুরুল আলম ওরপে ডাক্তার মঞ্জু নিজ ইচ্ছেমতে কাজ করে যাচ্ছেন।
জানাযায়, পৌরসভা থেকে অনুমোদিত প্লানে ভবনের চার পাশে ৬ ফিট করে জায়গা ছেড়ে দিয়ে নির্মাণ কাজ করবে এবং ভবনের নিচে গাড়ী পার্কিং থাকবে। অথচ তা করেনি ভবন মালিক। শুধু তা-ই নয়, সড়কের পাশে প্রবেশ পথে সরকারি জায়গায় সিঁড়ি নির্মাণ করে এবং গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হয়। বিষয়টি জানতে পেরে গত ২৯ ফেব্রুয়ার নোটিশ দেয় এবং নিয়ম না মানায় ৪ মার্চ বাড়তি ওয়াল ভেঙে দেয় পৌর কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: অপহরণ সহ সকল অপরাধ বন্ধে পুলিশ-জনতার ঐক্য চান কক্সবাজারের এসপি
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চড়াও হয় ভবনটির মালিক মঞ্জু ডাক্তার। তিনি অভিযোগ করেন পৌর মেয়রকে চাঁদা না দেওয়ায় এমনটি ঘটিয়েছে মেয়র। যদিও চাঁদা চাওয়ার বিষয়ে স্পষ্ট কোন প্রমাণাদি দিতে পারেনি তিনি।
এ বিষয়ে রায়পুর পৌর মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুভে ভাট বলেন, নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে মঞ্জুর আলম মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে গায়ের জোরে ভবন নির্মাণ করছেন, মিথ্যা বানোয়াট কথা বলে নিজের অনিয়মকে ঢাকার চেষ্টা করছেন তিনি। মার্কেট নির্মাণে কোন নিয়ম মানা হয়নি।
মেয়র বলেন, তার সকল অনিয়ম ঢাকতে গত ২৬ মার্চ মুক্তিযুদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পূর্ব পরিকল্পিতভাবেই আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করে এই মুক্তিযোদ্ধা। সঠিক ব্যাখ্যা দিতে গিয়েও আমি বাধার সম্মুখীন হয়েছি। চাঁদার বিষয়ে প্রমাণিত হলে শাস্তি ভোগ করবেন এবং যদি প্রমাণিত না হয় তাহলে এই মুক্তিযোদ্ধাকেই শাস্তির আওতায় আনা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ডাকাতি: বান্দরবানের সব উপজেলায় বন্ধ সোনালী ব্যাংক
মেয়র আরো বলেন, আমার অপরাধ হচ্ছে শেখ হাসিনার দেয়া নৌকা প্রতীক নিয়ে মেয়ের নির্বাচিত হয়েছি, আমি চাঁদাবাজ মুক্ত পৌরসভা গড়ার চেষ্টা করি, পৌরসভাকে আধুনিক পৌরসভা হিসেবে স্বপ্ন দেখি, পৌরসভা উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি, সব ধরনের অন্যায় ও অনিময়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি।
তাই আমি এমন কিছু গুটি লোকের কাছে খারাপ এবং অপরাধী। পৌর কর্তৃপক্ষের এমন অভিযোগ অস্বীকার করে মঞ্জুরুল আলম বলেন, নিয়ম মেনেই একতা টাওয়ারের নির্মাণ কাজ হয়েছে। বরং আমার ব্যক্তিগত মালিকানা জমি ছেড়ে দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে ভবন। পৌরসভা লোকজনদেরকে লাঞ্ছিত কিংবা হামলার ঘটনা তিনি অস্বীকার করেন।
এমএল/