বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে এলজিইডি'র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর শ্রদ্ধা


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:৩৭ অপরাহ্ন, ৭ই এপ্রিল ২০২৪


বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে এলজিইডি'র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর শ্রদ্ধা
ছবি: প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এলজিইডি'র সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) শেখ মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম।


রবিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে তিনি বঙ্গবন্ধু সমাধির বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। 


পরে পবিত্র ফাতেহা ও দরুদ পাঠ শেষে তিনি '৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সহ তাঁর পরিবারে নিহত সকল শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনায় ও বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেন।


আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু


এসময় গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইলিয়াছ হোসেন, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও জে কে পলিমার ইন্ডাস্ট্রি'র চেয়ারম্যান আলহাজ্ব কামরুজ্জামান কামাল সিকদার, পাটগাতি ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শুকুর আহমদ, এলজিইডি'র সিনিয়র সহকারী মাহামুদ হাসান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী (সিনিয়র সহকারী) মো. ফয়সাল আহম্মেদ, কাশিয়ানী উপজেলা প্রকৌশলী (সিনিয়র সহকারী) সজল দত্ত, সহকারী প্রকৌশলী নুরুজ্জামান, এলজিইডির কৃষি ফ্যাসিলেটেটর সহকারী প্রকৌশলী লাচো তালুকদার, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ কুমার শর্মা, পাথালিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম মকিম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। পরে বঙ্গবন্ধু ভবনে সংরক্ষিত পরিদর্শন বইতে তিনি মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন।


শেখ মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোহাম্মদ বাবর আলীর দ্বিতীয় সন্তান। তিনি দীর্ঘ ৪ বছরের অধিক সময় টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ায় উপজেলা প্রকৌশলী পদে কর্মরত ছিলেন। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর মাজার ও আশেপাশের এলাকা এলসিএস কর্মী দিয়ে পরিষ্কার রাখার কাজ করেছেন তিনি। এছাড়া সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ'র সাথে বর্তমান মাজার সংলগ্ন পরিদর্শন ভবনের ড্রইং ও সুপারভিশন করার সাথেও সংযুক্ত ছিলেন তিনি। গোপালগঞ্জে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া সংযুক্ত বর্তমান সড়কের মাটির কাজ ও শৈলদাহ নদীর ওপর ১৫০ মিটার ব্রীজ নির্মাণ তার উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে অন্যতম। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত অনুদান (ম্যাচিং ফান্ড) দ্বারা ১২টি স্বল্পব্যয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এছাড়া বেসরকারি রেজিস্টার্ড বহু প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন তিনি। গোপালগঞ্জ সহ দেশবাসীর নিকট দোয়া কামনা করেছেন তিনি।


এমএল/