মোবাইলে গেম খেলা নিয়ে কথা কাটাকাটি, মা-মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:৫৩ অপরাহ্ন, ২১শে এপ্রিল ২০২৪


মোবাইলে গেম খেলা নিয়ে কথা কাটাকাটি, মা-মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা
ফাইল ছবি

দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জে ছেলেমেয়ে মোবাইলে গেম খেলাকে কেন্দ্র করে দুই সন্তানের জননী মর্জিনা বেগমকে (৩০) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ সময় গুরুতর আহত করা হয় দুই ছেলেমেয়েকেও। তাদের উদ্ধার করে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় মেয়ে আফরিন আকতার (৫)।


রবিবার (২১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় একমাত্র মেয়ে আফরিন আকতারও। ময়নাতদন্তের জন্য মা-মেয়ের মরদেহ দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।’


আরও পড়ুন: ৬ দিন পর হিলি স্থল বন্দরে আমদানি রপ্তানি স্বাভাবিক


শনিবার (২০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের হেয়াতপুর (চিনির চড়া) গ্রামে এই নির্মম ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত শহিদুল ইসলামকে রাতেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 


নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের হেয়াতপুর (চিনির চড়া) গ্রামে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় মর্জিনা বেগম নামের এক নারী। এ সময় নিহতের ছেলে আল আমিন (১২) ও মেয়ে আফরিন আকতার (৫) গুরুতর আহত হয়। 


নিহতদের পরিবারের বরাত দিয়ে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাওহীদুল ইসলাম বলেন, ‘নিহত মর্জিনার মা গোলাপি বেগম বাদী হয়ে শনিবার রাতে থানায় অভিযোগ করলে মেয়ের জামাই শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার রাতে মোবাইলে গেম খেলছিল আল আমিন ও আফরিন। এ সময় রান্না করছিলেন তাদের মা মর্জিনা বেগম। মোবাইল নিয়ে ছেলেমেয়ের চিল্লাচিল্লি শুনতে পেয়ে দুজনকেই থামতে বলেন মর্জিনা। এরপরও না থামলে দুজনকে থাপ্পড় মারেন তিনি। এতেই উত্তেজিত হয়ে যান তাদের বাবা শহিদুল ইসলাম। বিষয়টি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে মেজাজ হারিয়ে মর্জিনা বেগমকে খাটের চৌকাঠ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন শহিদুল। এ সময় দুই ছেলেমেয়ে এগিয়ে আসলে তাদেরও পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।’


আরও পড়ুন: আমদানির খবরে হিলিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে ৫০ টাকা


তিনি আরও জানান, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে আরও কোনও বিষয় জড়িত আছে কিনা সে ব্যাপারে তদন্ত চলছে। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে।


জেবি/এজে