সৈয়দপুরে ইরি-বোরো ধান চাষের প্রস্তুতি শুরু, পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
সৈয়দপুর প্রতিনিধি: আমনের নবান্ন উৎসব শেষ হতে না হতেই শুরু হয়েছে ইরি-বোরো মৌসুমের ধানের বীজতলা তৈরীর কর্মযজ্ঞ। কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছে বীজ বপণ ও পরিচর্যায়। নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর, বোতলাগাড়ী, বাঙ্গালীপুর, কাশিরাম বেলপুকুর ও খাতামধুপুর ইউনিয়নে সরেজমিন গিয়ে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ধানচাষীরা হাট বাজার থেকে বিভিন্ন কোম্পানির হাইব্রিড ও আটাশ জাতের ধানবীজ কিনে বা নিজের সংরক্ষিত বীজ বপণের জমি প্রস্তুত করছেন। অনেকে ইতোমধ্যে জমিতে বীজ ফেলেছেন। গজানো চারায় পানিসেচ ও ছাই দেয়ায় ব্যস্ত তারা।
পৌরসভার বাঁশবাড়ী মহল্লার কৃষক হায়দার আলী বলেন, সার ও ডিজেলের দাম এবং শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় এবারের বোরো ধানের আবাদ নিয়ে কৃষকরা শঙ্কায় আছে। চাষের খরচ বেশি হলে পোষানো মুশকিল হয়ে পড়বে।
কামারপুকুর ইউনিয়নের কৃষক সাদ্দাম হোসেন জানান, আমন মৌসুমে কারেন্ট পোকা, পঁচানী ও শেষ মূহুর্তে অতিবৃষ্টির কবলে পড়ে আশানুরূপ ফলন পাওয়া যায়নি। তাই সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ইরি-বোরো যাতে ভালভাবে করতে পারি সেজন্য আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছি।
কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের গোলাম রাব্বানী বলেন, এবার জমিতে হালচাষ করে সময়মত চারা রোপণ, সার, সেচ ও কীটনাশক দিলে এবং সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে পারলে ইরি-বোরো আবাদ খুব ভালো হবে।
বোতলাগাড়ীর আবু তালেব ও খাতামধুপুরের মোহাইমিনুল ঝন্টু বলেন, দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতির কারনে গতবারের চেয়ে এবার ইরি-বোরো চাষে বিঘা প্রতি হাল, রোপণ, নিড়ানি, সার, সেচ, কীটনাশক, পরিচর্যা ও কাটানি বাবদ অতিরিক্ত ৫ হাজার টাকার বেশি খরচ হবে।
একই মত ব্যক্ত করেন বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের ধানচাষী বেলাল হোসেন। তবে তিনি বলেন, আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাই তাহলে অতিরিক্ত খরচ হলেও ইনশাআল্লাহ বোরো চাষের মাধ্যমে আমনের লস কাটানো সম্ভব হবে।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহিনা বেগম জানান, উপজেলার ৫ টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় এবার প্রায় ৭ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হবে। এতে লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩২ হাজার ২০ মেট্রিক টন। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, লক্ষমাত্রা অর্জনে কৃষি বিভাগ চাষীদের সার্বিক সহযোগীতা প্রদানে সদা প্রস্তুত রয়েছে। কৃষকদের সাথে সম্মিলিত উদ্যোগে এবার বোরোর বাম্পার ফলন হবে। (