বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক কারাগারে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪৭ অপরাহ্ন, ২৩শে এপ্রিল ২০২৪
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) এক শিক্ষিকাকে অনলাইনে উত্ত্যক্ত ও ধর্ষণের হুমকির অভিযোগে অভিযোগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শান্ত মারিয়ামের সহকারী অধ্যাপক রশি কামালকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২২ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে তাকে আটকের পর গত ১৮ এপ্রিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারদিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। সেই রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সিএমএম আদালতে পল্লবী থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সেলিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: জাবিতে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নতুন কমিটি গঠন
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, অনলাইনে উত্ত্যক্ত ও ধর্ষণের হুমকির অভিযোগে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ঢাকার পল্লবী থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী শিক্ষিকা। ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে ঐ শিক্ষিকার একটি গবেষণা ‘ইন্দোনেশিয়ান জার্নাল অব সোশ্যাল রিসার্চ’ নামক জার্নালে প্রকাশ হয়।
‘গত ১৭ মার্চ প্রকাশিত গবেষণাপত্রটি চেয়ে আসামি রশি কামাল ওই নারীর মেইলে অনুরোধ করেন। এসময় তিনি শান্ত মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করছেন বলে জানান। আসামির অনুরোধে তিনি গবেষণাপত্রটি তার মেইলে পাঠান। গবেষণাপত্রটি আসামি পড়ে খুব প্রশংসা করে একটি কনফারেন্সে প্রকাশের জন্য যৌথভাবে গবেষণার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এজন্য বাদীর কাছে আসামি সিভি চাইলে তিনি সিভি দেন। আসামির কাছে তার রিসার্চ গেটের লিংক চাইলে তিনি বাদীর ইমেইলে পাঠান। তবে বাদীর গবেষণার বিষয় থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয় হওয়ায় তিনি আসামির সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেননি।’
আরও পড়ুন: ভুয়া তথ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার চেষ্টা বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীর
‘এরপরও আসামি বাদীর সঙ্গে স্কাইপিতে ভিডিও কলে কথা বলার জন্য বারবার অনুরোধ করেন, কিন্তু তিনি রাজি হননি।সেই ধারাবাহিকতায় গত ২৯ মার্চ রাত ১টা ৪ মিনিটে আসামি ওই শিক্ষিকাকে ফোন দেন এবং যৌন হয়রানিমূলক কথাবার্তা বলে ফোন রেখে দেন। এরপর একাধিকবার হোয়াটসঅ্যাপে কল দিয়ে নিজেকে রশি কামাল পরিচয় দিয়ে আক্রমণাত্মক ভাষা ব্যবহার করেন।’
এরপর গত ২৯ মার্চ রাত অনুমান ১টা ৪ মিনিট থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে আসামির হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে বাদীর হোয়াটস অ্যাপ নম্বরে অশ্লীল যৌন হয়রানিমূলক কথাবার্তা বলে ধর্ষণ করার হুমকি দেন। এ সময় হোয়াটসঅ্যাপে পর্ন ছবি পাঠান এবং নোংরা ছবি নেট দুনিয়ায় ছেড়ে দিয়ে মর্যাদাহানি করার হুমকি দেন।
জেবি/এসবি