৬ দাবিতে সরকারি চাকুরিজীবী ফোরামের স্মারকলিপি


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:০৩ অপরাহ্ন, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪


৬ দাবিতে সরকারি চাকুরিজীবী ফোরামের স্মারকলিপি
ছবি: প্রতিনিধি

নবম পে-স্কেলসহ ৬ দফা দাবিতে ঢাকার জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ১১-২০ গ্রেড সরকারি চাকুরিজীবী ফোরাম।


বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন ফোরামের নেতৃবৃন্দ।


এসময় ফোরামের সভাপতি লুৎফর রহমান এবং সাধারন সম্পাদক মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে স্মারকলিপি প্রদানকালে সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, সহ-সাধারন সম্পাদক আনিসুর রহমার, আরিফুল ইসলাম, রিয়াজ উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক গোলাম রসুল নয়ন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক খাদিজা খানম, মহানগর আহবায়ক, ছারোয়ার হোসেন তালুকদার, সদস্য সচিব মাহবুবুল হক তালুকদার, যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা বিভাগীয় সভাপতি মৌসুমি প্রধান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও পড়ুন: ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী


 নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তোরণ ঘটেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বের মধ্যে ৩৯ তম এবং ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে (পিপিপি) ২১ তম যা দক্ষিণ এশিয়ায় ২য়। বাংলাদেশ গত এক দশক ধরে গড়ে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ হার ধরে রেখে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে এবং বর্তমানে বিশ্বের ৭ম দ্রুত উন্নয়নশীল অর্থনীতি। আমাদের গড় আয় বেড়েছে কিন্তু আমরা ১১-২০ গ্রেডের সরকারি কর্মচারীরা দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি ও সেবা খাতের ব্যয় বৃদ্ধির কারণে মানবেতর জীবনযাপন করছি। দ্রব্যমূল্য কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে ও সেবামূল্যও আকাশচুম্বি রূপ ধারণ করেছে। অথচ নিম্ন গ্রেডের কর্মচারীদের আয় বাড়েনি মোটেও। তাই চলমান জীবন বাস্তবতার নিরিখে প্রজাতন্ত্রের এ সকল নিম্নবেতনভুক্ত কর্মচারীদের কতিপয় সমস্যাদি নিরসনে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সরকারের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দৃষ্টি আকর্ষন করছি।


আরও পড়ুন: র‍্যাবের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত


৬ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে পে-কমিশন গঠন পূর্বক বৈষম্য মুক্ত ৯ম পে স্কেল ঘোষনার মাধ্যমে বেতন বৈষম্য নিরসনসহ বেতন স্কেলের পার্থক্য সমহারে নির্ধারন ও গ্রেড সংখ্যা কমাতে হবে, পে-কমিশনে ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারি প্রতিনিধি রাখতে হবে। যে সকল কর্মচারি মূল বেতনের শেষ ধাপে পৌঁছে গেছে তাহাদের বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধি নিয়মিত করতে হবে, টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড, বেতন জ্যেষ্ঠতা পূণর্বহাল, ব্লক পোষ্ট নিয়মিত করণসহ সকল পদে পদোন্নতি বা ৫ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড প্রদান, করতে হবে, বাজারমূল্যের উর্দ্ধগতি ও জীবন যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সাথে সমন্বয় পূর্বক সকল ভাতাদি পুনঃনির্ধারণ ও ১১-২০ গ্রেডের চাকুরিজীবীদেরও রেশন ব্যবস্থা প্রবর্তন অথবা ন্যায্য মূল্যে সরকারি ভাবে পন্য সরবরাহ করতে হবে।


নেতৃবৃন্দ জানান, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী প্রতিটি জেলায় জেলা প্রশাসক বরাবর এ স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।


জেবি/এসবি