পটুয়াখালীতে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১:২৩ পূর্বাহ্ন, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪
তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। তপ্ত রোদে পুড়ছে ফসলের মাঠ। হাঁসফাঁস অবস্থা প্রাণিকুলে। এ অবস্থায় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে ইস্তিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় উপজেলার রাঙ্গাবালী ইউনিয়নের কেরামতিয়া ঈদগা ময়দানে তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে ও রহমতের বৃষ্টি বর্ষণের জন্য এ নামাজ আদায় করা হয়। নামাজ শেষে আল্লাহর রহমত কামনা করে দাবদাহ থেকে মুক্তি এবং বৃষ্টির জন্য মোনাজাত করা হয়।
এর আগে আলোচনা করেন, স্থানীয় ওলামায়ে কেরাম ও রাঙ্গাবিলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন। বিশেষ নামাজের মোনাজাত পরিচালনা করেন, রাঙ্গাবালী থানার মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. সালেহ উদ্দিন।
আরও পড়ুন: কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ময়লার ভাগাড়, তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরছেন পর্যটক
বিশেষ নামাজের মোনাজাত পরিচালনাকারী মাওলানা মো. সালেহ উদ্দিন বলেন, অনেক দিন ধরে আমাদের এই অঞ্চলে বৃষ্টি না হওয়ার কারণে জমিন ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। পশু-পাখি খাবারের জন্য হাহাকার করছে। এ জন্য আমরা আল্লাহ তায়ালার কাছে আমাদের কৃত কর্মের (গুনাহের) জন্য মাফ চেয়ে আজকে রহমতের বৃষ্টি চেয়ে সলাতুল ইস্তিসকার নামাজ আদায় করেছি। এটি মূলত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জমানায় ও ছিলেন, রাসূল (সা) প্রচন্ড খরার সময় সাহাবায়ে কেরামদের নিয়ে সলাতুল ইস্তিসকার নামাজ আদায় করতেন, এবং আল্লাহ তায়ালা রহমতের বৃষ্টি বর্ষণ করতেন।
তিনি আরও বলেন, এই গরম থেকে রক্ষা পেতে এবং আল্লাহর রহমতের বৃষ্টি যাতে আমাদের ওপর বর্ষণ হয়, এজন্য আমরা ইস্তিসকার নামাজ আদায়ের জন্য রাঙ্গাবালী ইউনিয়নের বাহেরচর , আমলিবাড়িয়া, কাহিরহাওলা, গন্ডাধূলা, এবং ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের ফুলখালী আর চতলাখালী গ্রামের মানুষ একত্র হয়ে এই সালাত আদায় করলাম। আল্লাহ যাতে আমাদের বালা মুসিবত থেকে হেফাজত করেন। এবং আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদের ক্ষমা করেন এবং আমাদের উপরে রহমতের বৃষ্টি বর্ষণ করেন।
এমএল/