পটুয়াখালীতে মুগডালের বাম্পার ফলনে কৃষকদের মুখে হাসি
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২:৪৪ অপরাহ্ন, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪

পটুয়াখালীর দুমকিতে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে মুগডাল আবাদ করেছে কৃষকেরা। স্বল্প সময়ে কম খরচে ও পরিশ্রমে অধিক লাভজনক জনক হওয়ায় দিন দিন মুগডাল চাষে ঝুঁকছে কৃষকেরা। ইতোমধ্যে মুগডাল পাকা শুরু করেছে। প্রতিটি মাঠে পাকা মুগ সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে দুমকিতে মুগ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাড়ে ৩ হাজার ৮ শত ৫০ হেক্টর জমিতে। কৃষি প্রনোদনার আওতায় কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে ছড়িয়ে ছিটিয়ে মুগডালের ব্যাপক চাষ হয়েছে। তবে মুরাদিয়া ও শ্রীরামপুর ইউনিয়নে অপেক্ষাকৃত বেশি চাষ হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ময়লার ভাগাড়, তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরছেন পর্যটক
কৃষকরা জানান, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে বিনামূল্যে উচ্চ ফলনশীল জাতের বারি-৬ জাতের মুগ বীজ পেয়ে চাষাবাদ করেছে। অনেক কৃষক নিজস্ব সংরক্ষিত দেশী জাতের মুগডাল চাষ করেছে। তবে বারি-৬ জাতের মুগের বাম্পার ফলন হয়েছে। মুরাদিয়া ইউনিয়নের কৃষক মাইনুল ইসলাম বলেন, ৬০ শতাংশ জমিতে সারি পদ্ধতিতে বারি- ৬ জাতের মুগ আবাদ করে ইতিমধ্যে ২০শতাংশ জমি থেকে দেড় শতাধিক কেজি মুগডাল তুলেছেন। এছাড়াও ওই এলাকায় কালাম মৃধা, সোহরাফ মৃধা, মান্নান ও কেরামত আলী লাইন চুইং পদ্ধতিতে মুগ চাষে সফল হয়েছে।
শ্রীরামপুর ইউনিয়নের কৃষক মো. মোশারফ হাওলাদার বলেন, এবছর তিন একর জমিতে মুগের চাষ করেছি। ইতোমধ্যে পাকা মুগডাল সংগ্রহ শুরু করেছি। আশা করি খরচ বাদ দিয়ে বেশ লাভবান হব।
অপর এক কৃষক শহিদুল ইসলাম জানান, এবছর অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে তার ফলন ভালো হয়নি। বিশেষ করে পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য কিট নাশক ব্যবহারে সুফল পাচ্ছিনা। এছাড়াও আগাছায় মুগের বেশ ক্ষতি হয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন বলেন, পটুয়াখালী জেলায় দুমকিতে মুগডালের ব্যাপক জমিতে চাষ হয়েছে। কৃষকদের বিনামূল্যে উচ্চ ফলনশীল জাতের বারি-৬ জাতের মুগডালের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন মাঠে প্রদর্শনী প্লট করা হয়েছে। উপ- সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ ও তদারকি করে আসছে এবং মুগের ভালো ফলন হয়েছে।
এমএল/