পাকিস্তানের নতুন কোচ কারস্টেন ও গিলেস্পিই

দীর্ঘদিন ধরেই গুঞ্জন চলছিল। পাকিস্তানের জাতীয় দলের কোচ হতে যাচ্ছেন প্রোটিয়ার সাবেক ওপেনার গ্যারি কারস্টেন এবং অজিদের সাবেক পেসার জেসন গিলেস্পি। তবে অবশেষে সেই গুঞ্জনই যেন সত্যি হয়েছে। বাবর-শাহিনদের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বলের হেড কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তারকা ব্যাটার কারস্টেন। আর টেস্টের প্রধান কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন তারকা পেসার গিলেস্পি। সব ফরম্যাটেই পাকিস্তানের সহকারী প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক তারকা অলরাউন্ডার আজহার মেহমুদ। 

রবিবার (২৮ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্যটি জানিয়েছেন পিসিবি প্রধান মহসিন নাকভি। সহকারী প্রধান কোচ আজহার মেহমুদ বর্তমানে দলটির অন্তর্র্বতীকালীন হেড কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। 

আগামী ২২ মে থেকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে অধিনায়ক বাবরের দল। সেই সিরিজ থেকেই পাকিস্তানের দায়িত্ব নিতে পারেন কোচ কারস্টেন। আর সিরিজের শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩০ মে, এরপরই দ্যা গ্রিন ম্যানরা দল যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে বিশ্বকাপ খেলতে যাবে। আর গিলেস্পির প্রথম সিরিজ হতে যাচ্ছে চলতি বছরের আগস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে।

আরও পড়ুন: আইপিএলের মতো রান হবে না বিশ্বকাপে: ওয়ার্নার

লাহোরে সংবাদ সম্মেলনে নতুন এই নিয়োগ প্রসঙ্গে পিসিবি সভাপতি বলেছেন, ‘ তাদের স্বাগত জানাই পাকিস্তান ক্রিকেট পরিবারে। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের দুই জায়গাতেই জেসনের কোচিং ক্যারিয়ার বেশ সাফল্যময়। অন্যদিকে গ্যারির কোচিং ক্যারিয়ারের মূল ফোকাস হচ্ছে জেতার মানসিকতা তৈরি করা, তরুণ প্রতিভা গড়া ও সর্বোচ্চ পর্যায়ে দলের সাফল্য এনে দেওয়া। এটাই তাকে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সম্মানের এবং চাহিদাসম্পন্ন কোচ বানিয়েছে।’

গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর গ্রান্ট ব্রাডবার্ন পাকিস্তানের প্রধান কোচের দায়িত্ব ছাড়ার পর থেকেই পদটি ফাঁকা ছিল। এর সাথে টিম ডিরেক্টরের পদও ফাঁকা ছিল। প্রথমত এ দুই জায়গাতেই মোহাম্মদ হাফিজকে নিয়োগ দিয়েছিল পিসিবি। তবে মহসিন নাকভি বোর্ডের দায়িত্ব নেওয়ার পর হাফিজকেও সরিয়ে দেন। এরপর শেন ওয়াটসন, মাইক হেসন, ড্যারেন স্যামিকে কোচ হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বোর্ডের পক্ষ থেকে। তবে তাদের কেউই রাজি হননি দায়িত্ব নিতে। 

পাকিস্তানের নতুন কোচ হিসেবে পিসিবি কেন বিদেশি কাউকে নিয়োগ দিল, এমন প্রশ্নে সংবাদ সম্মেলনে পিসিবি প্রধান জানিয়েছেন, ‘আমরা একটা ভারসাম্য বজায় রাখতে চেয়েছি। আমাদের দেশেও অনেক অনেক প্রতিভা আছে। আমরা চিকিৎসাবিজ্ঞানে খুব একটা এগিয়ে নেই, সে কারণে আমাদের দেশে ফিটনেস নিয়ে বেশ কিছু সমস্যা আছে। আমরা সেরাদের সেরাই চেয়েছি, দেশের বাইরের সেরা বিকল্প বাইরে রেখে বোধ হয় সেরা ফলও পাওয়া সম্ভব না।’ 

এমএল/