সাপের খামারে অভিযান, ২ অজগর উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
রাজবাড়ী প্রতিনিধি: সাউথ এশিয়া উইল্ডলাইভ ইনফরমেশন নেটওয়ার্কের (এস এ ডব্লিউ ই এন) তথ্যের ভিত্তিতে রাজবাড়ীর কালুখালীর একটি সাপের খামারে অভিযান চালিয়ে দু’টি অজগর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (৩ জানুয়ারি) বিকােলে রাজবাড়ীর সামাজিক বন বিভাগের সহযোগিতায় কালুখালীর হোগলাডাঙ্গা রঞ্জু নামের এক ব্যাক্তির সাপের খামার থেকে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট ওই সাপ দুটি উদ্ধার করে।
রাজবাড়ী সামাজিক বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাবিবুজ্জামান জানান, ঢাকা রেঞ্জ বন্যপ্রাণী ইউনিটের পরিচালক জহির আকনের নের্তৃত্বে বন বিভাগের কর্মকর্তাসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জৌলজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা এখানে আসে। পরবর্তীতে দুপুর ২টার দিকে কালুখালীর হোগলাডাঙ্গার একটি সাপের খামারে অভিযান চালিয়ে দু’টি অজগর সাপ উদ্ধার করে ঢাকায় নিয়ে যায়।
বাংলাদেশ বন অধিদফতরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা এবং তরুণ বন্যপ্রাণী গবেষক জোহরা মিলা জানান, নির্বিষ এই সাপটি নিশাচর ও খুবই অলস প্রকৃতির, প্রয়োজন ছাড়া খুব একটা নড়াচড়া করে না। এই প্রজাতিটি একাকি বাস করলেও শুধু প্রজননকালে জোড়া বাঁধে। সাধারণত মার্চ থেকে জুনের মধ্যে প্রজননকাল। দেশের ম্যানগ্রোভ বন, ঘাসযুক্ত জমি, চট্টগ্রাম ও সিলেটের চিরসবুজ পাহাড়ি বনে এদের দেখা পাওয়া যায়। সাপটি সাধারণত মানুষের ক্ষতি করে না। খাদ্য হিসেবে এরা সাধারণত ইঁদুর, মুরগি, শূকর, শিয়ালসহ ছোট থেকে বড় আকারের স্তন্যপায়ী প্রাণী, সরীসৃপ প্রাণী ইত্যাদি খেয়ে থাকে। এটি নিজের আকারের চেয়েও অনেক বড় প্রাণী খুব সহজেই গিলে খেতে পারে।
তিনি বলেন, চামড়ার জন্য এই সাপ পাচারকারীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। ফলে আমাদের বনাঞ্চল থেকে এটি দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ এর তফসিল-২ অনুযায়ী এ বন্যপ্রাণীটি সংরক্ষিত, তাই এটি হত্যা বা এর যে কোনো ক্ষতি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।