বাবাকে খাবার দিয়ে ফেরার পথে শিশুকে ‘ধর্ষণের’ পর হত্যা, লাশ মিলল নবগঙ্গায়


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯:২১ অপরাহ্ন, ৩রা মে ২০২৪


বাবাকে খাবার দিয়ে ফেরার পথে শিশুকে ‘ধর্ষণের’ পর হত্যা, লাশ মিলল নবগঙ্গায়
ছবি: প্রতিনিধি

নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় নিখোঁজের এক দিন পর নবগঙ্গা নদী থেকে সুফিয়া (৯) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করছে নৌ-পুলিশ। 


বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরের দিকে উপজেলার ইসলামপুরে নবগঙ্গা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।


নবগঙ্গা নদী থেকে উদ্ধার হওয়া ৯ বছরের শিশু (সুফিয়া) মরদেহ ধর্ষণের আলামত পেয়েছে ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক।বুধবার (১ মে) ইটভাটায় বাবার খাবার দিতে এসে নিখোঁজ হয় শিশুটি। সুফিয়া কাঞ্চনপুর গ্রামের আক্তার শেখের মেয়ে। সে বাড়ইপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেনীর ছাত্রী।


পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার কাঞ্চনপুর গ্রামের মিকালইলের সুপার ব্রিকস ইট ভাটায় তার বাবাকে ভাত দিয়ে ফেরার পথে নিখোঁজ হয় সুফিয়া। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান মেলেনি। পরের দিন বৃহস্পতিবার দুপুরে ইসলামপুর এলাকায় নবগঙ্গা নদীতে স্থানীয়রা একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে বড়দিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ঘটনাস্থলে এসে নিহতের স্বজনরা তার মরদেহ শনাক্ত করেন।


আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় এসআই নিহত


এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ নিয়ে যাবার পথে শিশুটির বাবা-মাসহ পরিবারের লোকেরা মরদেহ সহ সদর থানায় বিচারের জন্য আসে। এসময় শিশুটির পিতা আক্তার শেখ বলেন, আমার মেয়ে আমাকে ভাত দিয়ে আসার পথে প্রতিদিনই উত্যক্ত করে রিপন,মুরাদ টুটুল। এরাই আমার মেয়েকে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। আমি তাদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।শিশুর চাচা বশির আহম্মেদ বলেন, আমার ভাতিজির শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত ছিলো। মেয়েকে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে ঐ বখাটেরা। তাদের ফাঁসিচাই। 


শুক্রবার (৩ মে) সকালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহে ধর্ষণের আলামত রয়েছে বলে জানালেও সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. সুজল কুমার বকসী বক্তব্য দিতে রাজী হননি।


এ ব্যাপারে নড়াইল সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ময়নাতদন্তকারী কর্মকর্তা ডা. শরীফ মো. হাসান ফেরদৌস বলেন, শিশুটির মরাদেহ গলিত ছিলো। প্রাথমিকভাবে ধর্ষনের আলামত পাওয়া গেলেও সোয়াপ পরীক্ষা শেষ না করে এখনি নিশ্চিত হয়ে বলা যাচ্ছে না। 


এ বিষয়ে কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার শামীম উদ্দিন জানান, শিশুটির মরদেহ পাবার পরে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। এখন পোর্স্টমর্টেম রিপোর্ট আসলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্তা নেয়া হবে।


এমএল/