বাল্যবিয়ে বন্ধ করায়, ক্ষুব্ধ হয়ে কনেকে হত্যা যুবকের


Janobani

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮:০২ অপরাহ্ন, ১০ই মে ২০২৪


বাল্যবিয়ে বন্ধ করায়, ক্ষুব্ধ হয়ে কনেকে হত্যা যুবকের
প্রতিকী ছবি

ভারতের কর্ণাটকে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে কনেকে হত্যা করেছেন বিয়ের পাত্র। ১৬ বছর বয়সী ওই কনেকে শিরশ্ছ্বেদের মাধ্যমে হত্যা করেন তিনি। এরপর তার কাটা মাথা নিয়ে পালিয়ে যান ওই যুবক।


ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, শুক্রবার (১০ মে) কর্ণাটকের মাদিকেরি তালুকার হামিয়ালা গ্রাম থেকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। তবে ওই কিশোরীর মাথা এখনো উদ্ধার করা যায়নি বলে জানিয়েছে কর্ণাটক পুলিশ।


আরও পড়ুন: ভারতে বেড়েছে মুসলিম, কমছে হিন্দুর সংখ্যা


এনডিটিভি আরও জানিয়েছে, প্রকাশ নামের ৩২ বছর বয়সী ওই যুবকের সাথে ১৬ বছর বয়সী কিশোরীর বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু সে সময় বাল্যবিয়ের খবরটি শিশু কল্যাণ বিভাগের কাছে পৌঁছায়। তখন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা সেখানে যান এবং সেটি বন্ধ করে দেন। এছাড়াও তারা কনের পিতা-মাতাকে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন যদি ১৮ বছরের আগে বিয়ে দেওয়া হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


শিশু কল্যাণ বিভাগের কর্মকর্তাদের পরামর্শ শুনে কনের বাবা-মা বিয়ে স্থগিত করে এবং ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত নিজেদের মেয়ের বিয়ে না দিতে সিদ্ধান্ত নেন।


আরও পড়ুন: ভোট দিলেন নরেন্দ্র মোদি


তবে ওই যুবক এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি। পরবর্তীতে কনের বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মার ওপর হামলা করেন পাত্র। পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, ওই যুবক কনের বাবাকে লাথি মারেন এবং তার মাকে ধারালো কিছু দিয়ে স্বজোরে আঘাত করেন। এরপর ওই কিশোরী কনেকে বাড়ি থেকে জোর করে কিছুটা দূরে নিয়ে যান এবং সেখানে গিয়ে নৃশংসভাবে তার শিরশ্ছ্বেদ করে হত্যা করে মাথা নিয়ে পালিয়ে যান।


নিহত ওই কিশোরীর মাথা খুঁজে বের করতে পুলিশি অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে।


এমএল/