ধর্ম অবমাননায় কুবি শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮:১০ অপরাহ্ন, ১৬ই মে ২০২৪


ধর্ম অবমাননায় কুবি শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার
স্বপ্নীল মুখার্জি। ফাইল ছবি

কুবি প্রতিনিধি: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম এবং মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে অবমাননা এবং কটুক্তি করায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের শিক্ষার্থী স্বপ্নীল মুখার্জিকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।


বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আমিরুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে।


আরও পড়ুন: কুবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগ


অফিস আদেশে বলা হয়, ইসলাম ধর্ম অবমাননা এবং হযরত মোহাম্মদ (স.) কে নিয়ে কটুক্তি করায় ১৫ মে স্বপ্নীল মুখার্জিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। নোটিশের জবাব দিতে না পারায় স্বপ্নীল মুখার্জিকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।'


এই ঘটনার প্রেক্ষিতে এদিকে গত ১৪ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের রোভার স্কাউটস গ্রুপ থেকে এবং সনাতন বিদ্যার্থী সংসদের প্রচার সম্পাদক পদ থেকে স্বপ্নীলকে বহিষ্কার করা হয়েছে।


এর আগে গত মঙ্গলবার (১৪ মে) সন্ধ্যার দিকে ইসলাম ধর্ম এবং মহানবীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের কিছু স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট গ্রুপগুলোতে ছড়িয়ে পড়লে বেশ আলোচনা-সমালোচনার তৈরি হয়। এতে সংক্ষুব্ধ হয়ে ইসলাম ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে উক্ত ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে।


খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্বপ্নীলের নিজস্ব ফেসবুক একাউন্ট থেকে গত ২০ ফেব্রুয়ারি অনির্দিষ্টভাবে নামহীন ছোটদের বর্ণমালা শেখার একটি বইয়ের একটি পৃষ্ঠার ছবি নিয়ে ক্যাপশন দেন- “ছবি তো গিটারের, গান কীভাবে আসলো? ছবি কই আকছে। এটা তো রং করছে। আতশবাজি ফোটানোর সাথে রং তামাশার সম্পর্ক কি?"


আরও পড়ুন: কুবিতে প্রাধ্যক্ষ-সহকারী প্রক্টরের পদত্যাগ


ঐ পোস্টের মন্তব্যের ঘরে যে'কটি মন্তব্য নিয়ে ধর্মকে অবমাননার সমালোচনা তৈরি হয়েছে তারমধ্যে, আসিফ আহমেদ নামে একজনকে প্রত্যুত্তোর দিয়ে বলেন, “হযরত যেখানেই যেত যুদ্ধ করতো। বদর না ফদর আরো কত কি নাম আছে। এলাকার মানুষগুলাকে একটা দিনও শান্তি দেয়নি।"


একই ব্যক্তিকেই আবার বলেন, “এজন্যই মুসলিমদের সাথে কথা বলি না কারণ তাদের ব্রেইন নাই। আফগানিস্তান নিয়ে কথা বলতে বলতে হিন্দু ধর্মের দেবতা টেনে নিয়ে এসে বলে টপিকের মাঝে থাকতে। গা-ঞ্জা খেতে ইচ্ছা করলে রাতে খাবেন। দিনের বেলায় না। ধন্যবাদ।"



আরএক্স/